বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি ঘোষণার পর লালমনিরহাটে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। শনিবার রাতে জেলা কমিটি ঘোষণা হওয়ার পরই শুরু হয় পদত্যাগের ঢেউ।
জেলা যুগ্ম সদস্যসচিব কামরুজ্জামান সুমন, তানভীরুল ইসলাম, সায়েম আদনান অরকু, জোনায়েদ হোসেন আবির, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মাহমুদুল হাসান আবীর, হাসান আল মোহসিন, রবিউল ইসলাম রানা ও রুবায়েদ খন্দকার প্রান্তসহ বেশ কিছু সদস্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
তাঁদের ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে, তবে পদত্যাগকারীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে ২৪ নভেম্বর, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত লালমনিরহাট জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে শামস্ বিন শাহারিয়ার নাঈমকে আহ্বায়ক, হামিদুর রহমানকে সদস্যসচিব এবং সবুজ মিয়াকে মুখ্য সংগঠক করা হয়। তবে কমিটি ঘোষণার পরপরই অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে পদত্যাগ করেন।
তাঁদের অভিযোগ, যাদের আন্দোলনে কোনো ভূমিকা ছিল না, তারা অযথা নেতা হয়েছেন, আর যারা আন্দোলনের শুরু থেকেই কঠোর পরিশ্রম করেছেন, তারা পদবঞ্চিত হয়েছেন। এই বৈষম্যের কারণে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগ করেছেন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।
পদত্যাগের স্ট্যাটাস দিয়ে কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব কামরুজ্জামান সুমন বলেন, ‘যে কমিটিতে ত্যাগীদের নাম নেই। সেই কমিটিতে নিজের নাম দেখতে চাই না। তাই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।’
আরেক যুগ্ম সদস্যসচিব তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘অগণিত সহযোদ্ধাদের কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়নি, অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। সে কমিটিতে থাকতে চাই না। তাই পদত্যাগ করেছি। স্বদেশ প্রেমে পদ–পদবির প্রয়োজন হয় না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব হামিদুর রহমান বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ পদসংখ্যা কম এবং তা সবাইকে দেয়া সম্ভব না। কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশ করে গেছেন। তাঁরা যাকে যেখানে উপযুক্ত মনে করেছেন, তাকে সেই পদ দিয়েছেন।’