বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের ওপর হামলা করেছে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের আহত শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে নূরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে আন্দোলনে আহত কয়েকজন ব্যক্তি তার ওপর হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসাদুজ্জামান নূরকে চিকিৎসার জন্য দুপুরে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত কয়েকজন শিক্ষার্থী তার ওপর হামলা চালান। পরে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউর রহমানের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের মোবাইল ফোন সেটটি নিয়ে নেন পরিচালক।
তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য পরিচালককে ফোন করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানী থেকে আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০০১ সাল থেকে সংসদে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করেন নূর। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নীলফামারী-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি তিনি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনীতির পাশাপাশি ১১০টিরও বেশি টেলিভিশন চলচ্চিত্র ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন আসাদুজ্জামান নূর। টেলিভিশনে তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে এইসব দিনরাত্রি (১৯৮৫), অয়োময় (১৯৮৮), কোথাও কেউ নেই (১৯৯০), আজ রবিবার (১৯৯৯) ও সমুদ্র বিলাস প্রাইভেট লিমিটেড (১৯৯৯)। এর মধ্যে ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিকের ‘বাকের ভাই’ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক মনে বিশেষ জায়গা করে নেন তিনি।
রেডিওতে প্রচারিত তার নাটকের সংখ্যা ৫০-এরও অধিক। নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল শঙ্খনীল কারাগার (১৯৯২) ও আগুনের পরশমণি (১৯৯৪)।
সংস্কৃতিতে অবদান রাখার জন্য ২০১৮ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন আসাদুজ্জামান নূর। দীর্ঘদিন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।