7:45 pm, Thursday, 21 August 2025

উদ্বোধনের আগেই বদলে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর নাম

উদ্বোধনের আগেই বদলে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর নাম

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

দেশের সবচেয়ে বড় যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে নাম পরিবর্তন করে কী নাম দেওয়া হবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এখনও।

ইতোমধ্যেই রেল সেতুটির ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে এই রেলসেতু দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে এই রেলসেতুর ওপর দিয়ে ট্রায়াল ট্রেন চালানো হয়। শুরুতে ১০ কিলোমিটার এবং পরবর্তীতে ৪০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করে এই দীর্ঘতম এই সেতু দিয়ে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর নাম পরিবর্তনের বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এই সেতুটির নাম সরকারের দেওয়া। এখন নতুন সরকার এসেছে। এখন সরকার যদি মনে করে এটির নাম পরিবর্তন করবে, তাহলে এটা সরকারের বিষয়। এ বিষয়ে তারা কোনো অফিসিয়ালপত্র এখনো পাননি। তবে এটা ঠিক যে সেতুটির নাম পরিবর্তন হচ্ছে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তখন এর ব্যয় ধরা হয় ৯ হাজার ৭৩৪ দশমিক ৭ কোটি টাকা। পরে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকায়। যার ১২ হাজার ১৪৯ দশমিক ২ কোটি টাকা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ হিসেবে দিয়েছে। এ প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত সময় ছিল জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত। কিন্তু প্রথম সংশোধনে এ সময়সীমা ডিসেম্বর ২০২৪ করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

যে শিক্ষা আমাদের গোলাম করে রাখে তা দিয়ে কী করব: ফরহাদ মজহার

উদ্বোধনের আগেই বদলে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর নাম

Update Time : 06:47:01 pm, Friday, 29 November 2024

দেশের সবচেয়ে বড় যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে নাম পরিবর্তন করে কী নাম দেওয়া হবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এখনও।

ইতোমধ্যেই রেল সেতুটির ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে এই রেলসেতু দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে এই রেলসেতুর ওপর দিয়ে ট্রায়াল ট্রেন চালানো হয়। শুরুতে ১০ কিলোমিটার এবং পরবর্তীতে ৪০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করে এই দীর্ঘতম এই সেতু দিয়ে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর নাম পরিবর্তনের বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এই সেতুটির নাম সরকারের দেওয়া। এখন নতুন সরকার এসেছে। এখন সরকার যদি মনে করে এটির নাম পরিবর্তন করবে, তাহলে এটা সরকারের বিষয়। এ বিষয়ে তারা কোনো অফিসিয়ালপত্র এখনো পাননি। তবে এটা ঠিক যে সেতুটির নাম পরিবর্তন হচ্ছে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তখন এর ব্যয় ধরা হয় ৯ হাজার ৭৩৪ দশমিক ৭ কোটি টাকা। পরে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকায়। যার ১২ হাজার ১৪৯ দশমিক ২ কোটি টাকা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ হিসেবে দিয়েছে। এ প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত সময় ছিল জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত। কিন্তু প্রথম সংশোধনে এ সময়সীমা ডিসেম্বর ২০২৪ করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুটির অনুমোদন দেওয়া হয়।