নেত্রকোণার পূর্বধলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী সাত মিনিটের ঝটিকা মিছিল করেছেন। যদিও মিছিলে বেশিরভাগ নেতাকর্মী ছিলেন হেলমেট, মাফলার ও মাস্ক পরিহিত অবস্থায়।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার ডুবারুহি গ্রামের লিটন খন্দকারের ছেলে সাগর খন্দকার (২৫), বালুচরা গ্রামের আবুল কাশেম তালুকদারের ছেলে আতিক হাসান (৩২) ওরফে আল-আমিন, ছোট ইলাছপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে ইয়াহিয়া তালুকদার(২১), একই গ্রামের মৃত বাবুল চৌধুরীর ছেলে আরমান চৌধুরী (১৯), মো. তাজউদ্দীনের ছেলে মোস্তাকিন (১৯) ও পূর্বধলা নয়াপাড়া গ্রামের উজ্জ্বল দত্তের ছেলে দীপ্ত দত্ত (২০)।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে শ্যামগঞ্জ-দুর্গাপুর সড়কের বালুচরা এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল বের করা হয়। পরে পুর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে মিছিলটির ১ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। ৫ আগস্টের পর নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের এটিই প্রথম মিছিল। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমন্বয়ক প্রীতম সোহাগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে স্ট্যাটাস দেন। পরে রাতে পুলিশ ছাত্রলীগের ৬ জন নেতাকর্মীকে আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালের দিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বিভিন্ন স্লোগানে মিছিল বের করে। কয়েক মিনিট মিছিল করার পর তারা মোটরসাইকেলে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে।
মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া শাহাদত নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেনের ভাতিজা। শাহাদত নিজের আইডিতে ভিডিওটি শেয়ার করে লেখেন, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার নামে মিথ্যা মামলা ও নেত্রকোনা-৫ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আহমদ হোসেনের মুক্তির দাবিতে বালুচরা বাজারে প্রতিবাদ মিছিল করে উপজেলা ছাত্রলীগ।’
পূর্বধলা থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো।