দক্ষিণ লেবাননে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে, যার ফলে অন্তত ৫৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এতে করে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩,৬৪২ জনে পৌঁছেছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই দিন আহত হয়েছেন ১১২ জন। এতে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৩৫৬ জন।
ইসরায়েল সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করে। তারা দাবি করছে, হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতেই এসব হামলা হচ্ছে। বিমান হামলার মধ্যেই হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে রকেট ছুড়তে থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হিজবুল্লাহ নিধনে সর্বাত্মক অভিযানের ঘোষণা দিয়ে পয়লা অক্টোবর দক্ষিণ লেবাননে স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এখনও নতুন নতুন এলাকা ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে। বাড়ছে উদ্বাস্তুর সংখ্যা।
এদিকে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চলা ১৩ মাসের যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা নিহত বেসামরিক এবং হামাস যোদ্ধাদের তালিকা পৃথকভাবে করেন না। তবে তারা বলেছে, নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ১৭ হাজারের বেশি জঙ্গিকে হত্যা করেছে। তবে এর স্বপক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৪৪,০৫৬ জন নিহত এবং ১০৪,২৬৮ জন আহত হয়েছেন। প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে বা চিকিৎসকরা যেতে পারেননি এমন জায়গায় হাজার হাজার মৃতদেহ চাপা পড়েছে।
মূলত হামাস যোদ্ধারাই এ যুদ্ধ শুরু করে। তারা গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায়। তখন প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। এর চেয়ে জঘন্য কাজটি ছিল ২৫০ জন নিরপরাধ মানুষকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে আসা। প্রায় ১০০ জিম্মি এখনও গাজার ভিতরে রয়েছেন। তাদের মধ্যে কতজন বেঁচে আছেন তা নিশ্চিত নয়।