যুক্তরাষ্ট্রের একটি জাহাজে ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র বোঝাইয়ে খবর ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। সোমবার (৬ নভেম্বর) এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক শত বিক্ষোভকারী দেশটির ওয়াশিংটন স্টেটের টোম্যাক বন্দরে জড়ো হয়। কিছু বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে বন্দরের ভিতরে ঢুকে পড়ে।
তাদের দাবি, ফিলিস্তিনিদের মারার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অস্ত্র ইসরায়েলে যাবে না।
সোমবার ওই কর্মসূচির আয়োজন করে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরব রিসোর্স অ্যান্ড অর্গানাইজিং সেন্টার। সংগঠনটির গণমাধ্যমবিষয়ক সমন্বয়ক ওয়াসিম হেজ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এসব অস্ত্র ইসরায়েলে পাঠাচ্ছে, আমরা এই সতর্কবার্তা দিতে এখানে এসেছি। আমরা মানুষকে জানাতে চাই যে গাজার ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলি গণহত্যায় সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আমাদের বন্দর ব্যবহার করে চলেছে।
তবে ওই সামরিক জাহাজটি আসলে অস্ত্র পরিবহন করছিল কি না বা সেটি আদৌ ইসরায়েলে যাচ্ছিল কি না, তা জানাতে পারেনি নিউইয়র্ক পোস্ট।
অবশ্য বিক্ষোভকারীদের বাধা সত্ত্বেও কয়েক ঘণ্টা পর ওয়াশিংটনের টাকোমা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় জাহাজটি। গতকাল সোমবার সেখানে পৌঁছালে একই ধরনের বাধার মুখে পড়ে এই জাহাজ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল ব্রায়ন জে ম্যাকগ্যারি বলেছেন, জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মালামাল পরিবহন করে। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে এই জাহাজ ঠিক কোথায় যাবে, তা জানাননি ম্যাকগ্যারি।
যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র। দেশটি ইসরায়েলকে প্রতি বছর সামরিক খাতে প্রায় ৩৪০ কোটি ডলার সহায়তা দেয়। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশটিতে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলকে ১ হাজার ৪০ কোটি ডলর জরুরিভিত্তিতে সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সূত্র : আল-জাজিরা