ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পড়েছে যাত্রীবোঝাই একটি বাস। এতে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। বাসটি দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। ভেতরে এখনো কয়েকজন আটকে রয়েছে।
সোমবার সকালে রাজ্যের নৈনিতাল জেলার রামনগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাসটিতে ৩৫ জনের বেশি যাত্রী ছিল। কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বার্তাসংস্থা পিটিআই-এর প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ি খরস্রোতা নদীর ধারে একটি বাস উল্টে পড়ে রয়েছে। বাসের বেশিভাগ অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। স্থানীয় বহু মানুষ বাস থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে। ওই অংশে নদী গভীর না হওয়ায় অনেকে নদী পেরিয়ে বাসের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
অপর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে বার্তাসংস্থা এএনআই। তাতে দেখা যাচ্ছে, উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে উত্তরাখণ্ডের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তাদের সাথে রয়েছে পুলিশও।
আলমোড়ার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মকর্তা বিনীত পাল বলেন, ‘১৫ জনের বেশি যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আমাদের দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হলে মোট নিহতের সংখ্যা জানা যাবে।’
এএনআই আলমোড়ার জেলা দুর্যোগ কন্ট্রোল রুমকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০ জন আহত হয়েছে।
তবে অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে আরো বেশি নিহতের কথা জানানো হয়েছে।
মহকুমা প্রশাসক সঞ্জয় কুমার জানান, কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ভেতরে অনেকেই এখনো আটকে রয়েছে। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। প্রশাসনের কাছে দুর্ঘটনাটির খবর যায় সকাল ৯টার দিকে। বাসে যে যাত্রীরা ছিলেন, তারাই কোনোরকমে খবর দেয়। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই উদ্ধারকাজ শুরু করে স্থানীয়রা।
জেলা প্রশাসক অলোক কুমার পাণ্ডে জানান, ৪০ জনের কাছাকাছি যাত্রী ছিল বাসটিতে। গাড়োয়াল থেকে কুমায়ুনের দিকে বাসটি যাচ্ছিল। ২০০ মিটার গভীর খাদে সেটি পড়ে যায়।
সূত্র : আনন্দবাজার