1:21 pm, Thursday, 31 October 2024

এক ভয়ানক অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ইধিকা পাল

  • Zuel Rana
  • Update Time : 09:44:09 am, Thursday, 31 October 2024
  • 17

এক ভয়ানক অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ইধিকা পাল

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

‘প্রিয়তমা’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্যমে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ওপার বাংলার ছোট পর্দার অভিনেত্রী ইধিকা পাল। সেই সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে দেখা যায় তাকে। তার পর থেকে সিনেমায় অভিনয়ের ব্যাপার নিয়মিত কথা হচ্ছে তার।

সম্প্রতি শাকিবের বিপরীতে আরও একটি সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। ‘বরবাদ’ নামের এই সিনেমার শুটিং চলছে।

আগামীকাল হ্যালোইন উৎসব। এ কারণেই হয়তো কয় দিন আগে তার ভক্তদের সঙ্গে এক ভৌতিক অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন এই অভিনেত্রী।

ইধিকা পাল সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কাকতালীয় কি কেবল সিনেমাতেই ঘটে? সে রাতে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল আমাদের সঙ্গেও। আপনাদের বলছি কারণ, আমার সঙ্গে আমার বোনও ছিল তখন। ঘটনাটা বহু বছর আগের। গড়িয়া স্টেশনের দিকে একটি বাড়িতে তখন ভাড়া থাকতেন আমার মামারা।

সেখানেই ঘুরতে গিয়েছিলাম আমি। এক সন্ধ্যায় আমি আর আমার সেই বোন বসে বসে সিনেমা দেখছি। কী সিনেমা জানেন? ‘ভুলভুলাইয়া’! বাড়িতে শুধু আমি আর বোন ছাড়া ওই মুহূর্তে কেউ ছিল না। আর ওই রাতেই এক ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি হই আমরা।

ওই যে বললাম, সেই ‘কাকতালীয়’ ঘটনার অঙ্ক মেলাতে পারিনি আজও।

তিনি বলেন, টিভিতে দিব্যি সিনেমা চলছে। ভয়ও পাচ্ছি, আবার হাসিও পাচ্ছে। এমন সময়ে এক অদ্ভুত গোঙানির আওয়াজ আমাদের দুজনেরই কানে আসে। সে আওয়াজ এতটাই ভয়ানক যে কেউ শুনলে তার গা ছম ছম করবে। খাটের একদম সামনেই টিভি, পাশেই দরজা এবং সেই দরজার বাইরে থেকেই আওয়াজটা এসেছিল। আমি ভেবেছিলাম ভূতের সিনেমা দেখছি, সেখান থেকেই হয়তো আওয়াজটা এসেছে। কিন্তু যেহেতু আমার বোন ওই সিনেমাটা আগেই দেখে ফেলেছিল, তাই ও ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিল যে গোঙানির আওয়াজ সিনেমার ওই দৃশ্যে ছিলই না।

তিনি আরও লেখেন, ‘এর উৎস অন্য কোনো জায়গা! আমি খুব সাহসের সঙ্গে বললাম, ওই আওয়াজ সিনেমা থেকেই আসছে। কিন্তু পরে টিভিটা মিউট করতেই পুরো বিষয়টা স্পষ্ট হলো। না, আওয়াজটা তো এখনো কানে আসছে! কিন্তু টিভি তো নীরব! তবে কার গোঙানির আওয়াজ এটা? উত্তর খুঁজে পাওয়ার আগেই আমরা দুজনেই খাটের পেছনে ঢুকে গিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে চিৎকার করতে থাকি। আমাদের চেঁচামেচি শুনে ওপর থেকে বাড়িওয়ালিরাও নিচে নেমে আসেন। কিন্তু সেই গোঙানির উৎস খুঁজে পায়নি কেউ। আর শোনাও যায়নি। কখনো কখনো মনে হয়, কেউ হয়তো ইচ্ছে করেই আমাদের ভয় দেখিয়েছিল সেদিন। তার পরে এটাও ভাবি, ভয় দেখিয়ে পালাবেই বা কোথায়? মামার বাড়ির সামনের রাস্তাটা নেহাত ছোট নয়। আর দুই পাশে পুকুর। লুকানোর জায়গাও নেই। আর আওয়াজটা এতটাই কাছাকাছি কোথাও থেকে আসছিল যে দরজার ওপাশে কে লুকিয়ে, তা দেখার ক্ষমতাও আমাদের দুজনের কারো ছিল না। এত বছর পরে ওই ঘটনাটার কথা মনে পড়লে যেমন ভয় পাই, তেমন হাসিও পায়! ভূতের সিনেমা দেখতে দেখতেই এমন ভৌতিক কাণ্ড ঘটে গেল আমাদের সঙ্গে। সত্যিই কি কাকতালীয় বলুন।’

Write Your Comment

About Author Information

Zuel Rana

এক ভয়ানক অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ইধিকা পাল

Update Time : 09:44:09 am, Thursday, 31 October 2024

‘প্রিয়তমা’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্যমে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ওপার বাংলার ছোট পর্দার অভিনেত্রী ইধিকা পাল। সেই সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে দেখা যায় তাকে। তার পর থেকে সিনেমায় অভিনয়ের ব্যাপার নিয়মিত কথা হচ্ছে তার।

সম্প্রতি শাকিবের বিপরীতে আরও একটি সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। ‘বরবাদ’ নামের এই সিনেমার শুটিং চলছে।

আগামীকাল হ্যালোইন উৎসব। এ কারণেই হয়তো কয় দিন আগে তার ভক্তদের সঙ্গে এক ভৌতিক অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন এই অভিনেত্রী।

ইধিকা পাল সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কাকতালীয় কি কেবল সিনেমাতেই ঘটে? সে রাতে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল আমাদের সঙ্গেও। আপনাদের বলছি কারণ, আমার সঙ্গে আমার বোনও ছিল তখন। ঘটনাটা বহু বছর আগের। গড়িয়া স্টেশনের দিকে একটি বাড়িতে তখন ভাড়া থাকতেন আমার মামারা।

সেখানেই ঘুরতে গিয়েছিলাম আমি। এক সন্ধ্যায় আমি আর আমার সেই বোন বসে বসে সিনেমা দেখছি। কী সিনেমা জানেন? ‘ভুলভুলাইয়া’! বাড়িতে শুধু আমি আর বোন ছাড়া ওই মুহূর্তে কেউ ছিল না। আর ওই রাতেই এক ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি হই আমরা।

ওই যে বললাম, সেই ‘কাকতালীয়’ ঘটনার অঙ্ক মেলাতে পারিনি আজও।

তিনি বলেন, টিভিতে দিব্যি সিনেমা চলছে। ভয়ও পাচ্ছি, আবার হাসিও পাচ্ছে। এমন সময়ে এক অদ্ভুত গোঙানির আওয়াজ আমাদের দুজনেরই কানে আসে। সে আওয়াজ এতটাই ভয়ানক যে কেউ শুনলে তার গা ছম ছম করবে। খাটের একদম সামনেই টিভি, পাশেই দরজা এবং সেই দরজার বাইরে থেকেই আওয়াজটা এসেছিল। আমি ভেবেছিলাম ভূতের সিনেমা দেখছি, সেখান থেকেই হয়তো আওয়াজটা এসেছে। কিন্তু যেহেতু আমার বোন ওই সিনেমাটা আগেই দেখে ফেলেছিল, তাই ও ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিল যে গোঙানির আওয়াজ সিনেমার ওই দৃশ্যে ছিলই না।

তিনি আরও লেখেন, ‘এর উৎস অন্য কোনো জায়গা! আমি খুব সাহসের সঙ্গে বললাম, ওই আওয়াজ সিনেমা থেকেই আসছে। কিন্তু পরে টিভিটা মিউট করতেই পুরো বিষয়টা স্পষ্ট হলো। না, আওয়াজটা তো এখনো কানে আসছে! কিন্তু টিভি তো নীরব! তবে কার গোঙানির আওয়াজ এটা? উত্তর খুঁজে পাওয়ার আগেই আমরা দুজনেই খাটের পেছনে ঢুকে গিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে চিৎকার করতে থাকি। আমাদের চেঁচামেচি শুনে ওপর থেকে বাড়িওয়ালিরাও নিচে নেমে আসেন। কিন্তু সেই গোঙানির উৎস খুঁজে পায়নি কেউ। আর শোনাও যায়নি। কখনো কখনো মনে হয়, কেউ হয়তো ইচ্ছে করেই আমাদের ভয় দেখিয়েছিল সেদিন। তার পরে এটাও ভাবি, ভয় দেখিয়ে পালাবেই বা কোথায়? মামার বাড়ির সামনের রাস্তাটা নেহাত ছোট নয়। আর দুই পাশে পুকুর। লুকানোর জায়গাও নেই। আর আওয়াজটা এতটাই কাছাকাছি কোথাও থেকে আসছিল যে দরজার ওপাশে কে লুকিয়ে, তা দেখার ক্ষমতাও আমাদের দুজনের কারো ছিল না। এত বছর পরে ওই ঘটনাটার কথা মনে পড়লে যেমন ভয় পাই, তেমন হাসিও পায়! ভূতের সিনেমা দেখতে দেখতেই এমন ভৌতিক কাণ্ড ঘটে গেল আমাদের সঙ্গে। সত্যিই কি কাকতালীয় বলুন।’