দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামী লীগের অপশাসন, নির্যাতন, খুন-গুম ও স্বৈরাচার উৎপাতের প্রতীক হিসেবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গণভবনকে জাদুঘরে পরিণত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) গণভবন পরিদর্শনকালে এ নির্দেশনা দেন প্রধান উপদষ্টা। এ সময় তার সঙ্গে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ ছিলেন। আরও ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জাদুঘরে তার (শেখ হাসিনার) দুঃশাসনের সময়কালের স্মৃতি এবং তাকে উৎখাতের সময় জনগণের ক্ষোভের চিহ্নগুলো থাকা উচিত।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণভবন জাদুঘরে আয়নাঘরের রেপ্লিকা নির্মাণ করা উচিত, যেখানে (আয়নাঘর) হাসিনার কুখ্যাত নিরাপত্তা সংস্থাগুলো গোপনে শতশত ভিন্নমতের ও বিরোধী নেতাকর্মীদের আটকে রাখত। (গণভবন জাদুঘর) পরিদর্শনে যারা আসবে, আয়নাঘর তাদের গোপন বন্দিশালার নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে দেবে।
অধ্যাপক ইউনূস অপর তিন উপদেষ্টাকে জাদুঘর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করতে বলেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের জন্য প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে বলেন তিনি।
এ সময় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, হাসিনা শাসনের ২০০৯ সাল থেকে সব অপকর্ম জাদুঘরে যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করা হবে। বিভিন্ন দেশে বিপ্লব ও বিদ্রোহের স্মরণে বিভিন্ন স্মৃতিস্মারক কিভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, তা জানতে অন্যান্য দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট সাধারণ ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা থেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ছাড়ার মুহূর্তের মধ্যে গণভবনে কয়েক লাখ বিক্ষোভকারী প্রবেশ করেন। তারা গণভবনের দেয়াল ও কক্ষে রকমারি গ্রাফিতি আঁকেন এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মন্তব্য লিখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিডি/জেডআর