আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের মণিপুরে। শনিবার রাজ্যটির দুটি ভিন্ন স্থানে বোমা বিস্ফোরণ ছাড়াও ব্যাপক বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে।
রোববার স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনা দুটি ঘটেছে ইম্ফল পশ্চিম জেলার কাউতরুক এলাকায় এবং বিষ্ণুপুর জেলার ত্রংলাওবিতে।
ইম্ফল পশ্চিম জেলা পুলিশের ধারণা, কুকি জঙ্গিরা সন্ধ্যা ৭টার (স্থানীয় সময়) দিকে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা ব্যবহার করে লামশাং থানার আওতাধীন কাউতরুক চিং লেইকাই গ্রামে হামলা চালায়। জবাবে এলাকায় মোতায়েন রাষ্ট্রীয় বাহিনী পালটা হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। চার ঘণ্টা ধরে চলে এ বন্দুকযুদ্ধ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাউতরুক চিং লেইকাই গ্রামের এক বাসিন্দা রিপোর্ট করেছেন, গুলি বিনিময়ের সময় পাশের বেথেল গ্রাম থেকে একটি ড্রোন উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। সেটি কুকি ছুড়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। এ ঘটনায় গ্রামবাসী বিমান হামলার আশঙ্কায় আছেন বলে জানিয়েছেন ওই বাসিন্দা। কারণ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গ্রামটিতে ড্রোন হামলা করা হয়। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয় বলেও জানান তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) কর্মীরা এ অঞ্চলে অননুমোদিত যে কোনো ড্রোন ভূপাতিত করতে পুরোপুরি প্রস্তুত।
এদিকে, সন্দেহভাজন কুকি গোষ্ঠীটি বিষ্ণুপুর জেলার মইরাং থানার প্রায় ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে ত্রংলাওবি গ্রামেও আক্রমণ চালায় বলে নিশ্চিত করেছে বিষ্ণুপুর জেলা পুলিশ। সন্দেহভাজন কুকি গোষ্ঠীটি শনিবার রাত সোয়া ৯টার (স্থানীয় সময়) দিকে গেলজং ও মোলশাং এলাকা থেকে গুলি চালানো শুরু করে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। এতে গ্রামীণ স্বেচ্ছাসেবক সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বাহিনীও পালটা জবাব দেয়।
এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর ত্রংলাওবি গ্রামে কুকিরা রকেট হামলা চালায়। তবে মণিপুরে নতুন এ সংঘাতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কয়েক বছর ধরেই মণিপুরের কুকি ও মেইতে সম্প্র্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সহিংসতা চলছে।