7:57 am, Friday, 27 December 2024

যে কারণে গাজা অভিযানে যেতে চান না ইসরায়েলি ১৩০ সেনা

যে কারণে গাজা অভিযানে যেতে চান না ইসরায়েলি ১৩০ সেনা। ছবি: সংগৃহিত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

ইসরায়েলি ১৩০ অনিয়মিত সেনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের কাছে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তারা বলেছেন, গাজা যুদ্ধ শেষ করতে ও হামাসের হাতে জিম্মি ১০১ জনকে মুক্ত করতে চুক্তি সই না করলে তারা সরকারের হয়ে আর কোনো কাজ করবেন না। আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে সীমারেখা পার হয়ে গেছে। আবার অনেকে সীমারেখার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আমরা ভাঙা মন নিয়ে এই সেবা থেকে সরে দাঁড়াতে এ চিঠি লিখছি।

ইসরায়েলে গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস অভিযান চালানোর পরও অনিয়মিত সেনা (রিজার্ভিস্ট) ইয়োতাম ভিল্ককে সামরিক বাহিনীতে কাজের জন্য ডাকা হয়নি। তবে তিনি স্বেচ্ছায় ইসরায়েলের হয়ে যুদ্ধ করতে যান। এরপর তিনি গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ২৩০ দিন কাটিয়েছেন। এ যুদ্ধ তার জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু এখন আর তিনি যুদ্ধে যেতে চান না।

ইয়োতামের সীমারেখা আগেই ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত নেওয়া তার জন্য সহজ ছিল না।

এই অনিয়মিত ইসরায়েলি সেনার মনে হয়েছে, যুদ্ধে সহযোগিতা করা থেকে সরে না দাঁড়ালে গাজায় আরেকটি দখলদারির যুদ্ধের অংশ হবেন তিনি। নেতানিয়াহু যতই বলুন না কেন, গাজায় নেতানিয়াহুর ইচ্ছা নিয়ে তার সন্দেহ তৈরি হয়েছে। নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা ও ডানপন্থী মন্ত্রীরা গাজায় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের কথা বলছেন।

ইয়োতাম ভিল্ক বলেন, তারা আমাকে এক বীভৎস পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছেন। আমি আমার নিজের সরকারের কাছ থেকে প্রতারিত বোধ করছি।

ইয়োতাম শুধু একা নন, মার্ক ক্রেসও তার মতো লেবানন সীমান্তে ৬৬ দিন দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন তিনি মনে করছেন, যথেষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, বাড়ি ফেরার পর থেকে তার মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে। বিষণ্নতায় ভুগছেন তিনি।

এ বছরের গ্রীষ্মে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় কাজ করার পর ইয়োতাম সেখানে যেতে অস্বীকার করছেন। তিনি বলেছেন, সরকার যদি আবার ডাকে তিনি আর যাবেন না। তিনি মনে করেন, কিছু ক্ষেত্রে গাজায় সামরিক পদক্ষেপ জরুরি ছিল। কিন্তু এটা হওয়া উচিত ছিল শান্তি প্রচেষ্টায় সহায়ক হতে পারে, এমন কূটনৈতিক সমাধানের একটি উপায় হিসেবে। তিনি এখন বিশ্বাস করেন, গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের জীবনকে আরও কঠিন করে তোলার পাশাপাশি জিম্মি মুক্তি কঠিন করে তোলা হয়েছে। নেতানিয়াহু সরকার সেখানে শান্তি অর্জন করতে চায় না। সূত্র: সিএনএন

Write Your Comment

About Author Information

Eashamoni Akter

কনক্রিট হল ব্লক- বাড়ির শক্ত ভিতের জন্য সেরা পছন্দ

যে কারণে গাজা অভিযানে যেতে চান না ইসরায়েলি ১৩০ সেনা

Update Time : 03:00:31 pm, Saturday, 26 October 2024

ইসরায়েলি ১৩০ অনিয়মিত সেনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের কাছে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তারা বলেছেন, গাজা যুদ্ধ শেষ করতে ও হামাসের হাতে জিম্মি ১০১ জনকে মুক্ত করতে চুক্তি সই না করলে তারা সরকারের হয়ে আর কোনো কাজ করবেন না। আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে সীমারেখা পার হয়ে গেছে। আবার অনেকে সীমারেখার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আমরা ভাঙা মন নিয়ে এই সেবা থেকে সরে দাঁড়াতে এ চিঠি লিখছি।

ইসরায়েলে গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস অভিযান চালানোর পরও অনিয়মিত সেনা (রিজার্ভিস্ট) ইয়োতাম ভিল্ককে সামরিক বাহিনীতে কাজের জন্য ডাকা হয়নি। তবে তিনি স্বেচ্ছায় ইসরায়েলের হয়ে যুদ্ধ করতে যান। এরপর তিনি গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ২৩০ দিন কাটিয়েছেন। এ যুদ্ধ তার জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু এখন আর তিনি যুদ্ধে যেতে চান না।

ইয়োতামের সীমারেখা আগেই ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত নেওয়া তার জন্য সহজ ছিল না।

এই অনিয়মিত ইসরায়েলি সেনার মনে হয়েছে, যুদ্ধে সহযোগিতা করা থেকে সরে না দাঁড়ালে গাজায় আরেকটি দখলদারির যুদ্ধের অংশ হবেন তিনি। নেতানিয়াহু যতই বলুন না কেন, গাজায় নেতানিয়াহুর ইচ্ছা নিয়ে তার সন্দেহ তৈরি হয়েছে। নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা ও ডানপন্থী মন্ত্রীরা গাজায় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের কথা বলছেন।

ইয়োতাম ভিল্ক বলেন, তারা আমাকে এক বীভৎস পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছেন। আমি আমার নিজের সরকারের কাছ থেকে প্রতারিত বোধ করছি।

ইয়োতাম শুধু একা নন, মার্ক ক্রেসও তার মতো লেবানন সীমান্তে ৬৬ দিন দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন তিনি মনে করছেন, যথেষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, বাড়ি ফেরার পর থেকে তার মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে। বিষণ্নতায় ভুগছেন তিনি।

এ বছরের গ্রীষ্মে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় কাজ করার পর ইয়োতাম সেখানে যেতে অস্বীকার করছেন। তিনি বলেছেন, সরকার যদি আবার ডাকে তিনি আর যাবেন না। তিনি মনে করেন, কিছু ক্ষেত্রে গাজায় সামরিক পদক্ষেপ জরুরি ছিল। কিন্তু এটা হওয়া উচিত ছিল শান্তি প্রচেষ্টায় সহায়ক হতে পারে, এমন কূটনৈতিক সমাধানের একটি উপায় হিসেবে। তিনি এখন বিশ্বাস করেন, গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের জীবনকে আরও কঠিন করে তোলার পাশাপাশি জিম্মি মুক্তি কঠিন করে তোলা হয়েছে। নেতানিয়াহু সরকার সেখানে শান্তি অর্জন করতে চায় না। সূত্র: সিএনএন