12:09 am, Sunday, 22 December 2024

দুর্বল রাডার ব্যবস্থাপনার সুযোগে বাংলাদেশের লক্ষ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ভারত

বাংলাদেশে আকাশসীম নিয়ন্ত্রণে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেম

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

দুর্বল রাডার ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করা আন্তর্জাতিক ফ্লাইট গুলোর তথ্য চলে যেত ভারতের কাছে। পেতে বছরের পর বছর ধরে নেভিগেশন চার্জের নামে দেশটি হাতিয়ে নিয়েছে অন্তত এক লাখ কোটি টাকা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে অবশেষে নতুন রাধার যুক্ত হওয়ায় বদলে গেছে অনেক হিসেব নিকেশ।

রাডার স্থাপনের আগে – প্রতিদিন ৮৬ লাখ টাকা রেভিনিউ পেত ভারত। যা প্রতিমাসে ২৫ কোটি টাকা, বছরে ৩১১ কোটি। ১৯৮৪ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৪০ বছরে হাতিয়ে নিয়েছে এক লাখ কোটিরও বেশি।

সম্প্রতি নতুন রাডার স্থাপিত হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এতে দেশের আকাশসীমা আপাতত রাহুমুক্ত হয়েছে ভারত থেকে। রাজস্ব খাতে যোগ হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। কয়েক যুগ ধরে নিজের আকাশপথ নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারিতে কোন সক্ষমতা ছিলনা বাংলাদেশের। দেশের সার্বভৌমত্ব ছিল ঝুঁকির মুখে।

কারণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একমাত্র ঘাঁটি স্থাপন করা হয় ৪০ বছর আগে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণে রাডারটি দীর্ঘদিন যাবৎ অনেকটাই অকার্যকর ছিল।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ওয়াহিদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান ‘আমরা আমাদের আকাশসীমা সেইভাবে ব্যবহার করতে পারি নাই। যার ফলশ্রুতিতে আমাদের পাশ্ববতী দেশ ভারত থেকে এই সার্ভিসটি নিতে হতো’।

নিয়ম অনুযায়ী কোন দেশের বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ অন্য দেশের আকাশসীমা ব্যবহার করলে প্রায় পাঁচশত ডলার দিতে হতো সে দেশকে। অথচ বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করা এ ধরনের উড়োজাহাজের সিগন্যাল রেজিস্টার করা হতো ভারতের রাডার থেকে। সেই রাজস্ব্যের পুরোটাই হাতিতে নিতো দিল্লী।

এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, সিভিল এভিয়েশেনের সদস্য এয়ার কমোডর একেএম জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যখন একটি বিমান একটি দেশের এয়ারস্প্রেস দিয়ে যায়, সেটা যদি ১০ মিনিটের কম সময়ে সে দেশের এয়ারস্প্রেসকে অতিক্রম করে, সেক্ষেত্রে বিমানটি আগে যে কন্ট্রল ইউনিটের সাথে সংযুক্ত ছিল সেটার মেইনটেন করতে পারে’।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাবেক পরিচালক বলেন, প্রতিদিন ১৫০ থেকে ১৬০ টি এয়ারক্রাফট যাওয়া আসা করে।
আর এসব কারণে বাংলাদেশে স্মাট ও শক্তিশালী রাডার স্থাপনে ভারতের বাধা ছিল তিন যুগ ধরে।

বিশ্বের সকল বিমানবন্দরেই স্থাপিত রাডার সিস্টেম দেশের প্রতিরক্ষা প্রাচীর হিসেবে কাজ করে থাকে। অন্যদেশের বিমান প্রবেশ বা শত্রুপক্ষের আক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর তথ্য দেয় এই ব্যবস্থা।

সূত্র: একুশে টেলিভিশন

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট

Bangladesh Diplomat | বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট | A Popular News Portal Of Bangladesh.

কনক্রিট হল ব্লক- বাড়ির শক্ত ভিতের জন্য সেরা পছন্দ

দুর্বল রাডার ব্যবস্থাপনার সুযোগে বাংলাদেশের লক্ষ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ভারত

Update Time : 06:37:14 pm, Friday, 25 October 2024

দুর্বল রাডার ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করা আন্তর্জাতিক ফ্লাইট গুলোর তথ্য চলে যেত ভারতের কাছে। পেতে বছরের পর বছর ধরে নেভিগেশন চার্জের নামে দেশটি হাতিয়ে নিয়েছে অন্তত এক লাখ কোটি টাকা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে অবশেষে নতুন রাধার যুক্ত হওয়ায় বদলে গেছে অনেক হিসেব নিকেশ।

রাডার স্থাপনের আগে – প্রতিদিন ৮৬ লাখ টাকা রেভিনিউ পেত ভারত। যা প্রতিমাসে ২৫ কোটি টাকা, বছরে ৩১১ কোটি। ১৯৮৪ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৪০ বছরে হাতিয়ে নিয়েছে এক লাখ কোটিরও বেশি।

সম্প্রতি নতুন রাডার স্থাপিত হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এতে দেশের আকাশসীমা আপাতত রাহুমুক্ত হয়েছে ভারত থেকে। রাজস্ব খাতে যোগ হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। কয়েক যুগ ধরে নিজের আকাশপথ নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারিতে কোন সক্ষমতা ছিলনা বাংলাদেশের। দেশের সার্বভৌমত্ব ছিল ঝুঁকির মুখে।

কারণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একমাত্র ঘাঁটি স্থাপন করা হয় ৪০ বছর আগে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণে রাডারটি দীর্ঘদিন যাবৎ অনেকটাই অকার্যকর ছিল।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ওয়াহিদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান ‘আমরা আমাদের আকাশসীমা সেইভাবে ব্যবহার করতে পারি নাই। যার ফলশ্রুতিতে আমাদের পাশ্ববতী দেশ ভারত থেকে এই সার্ভিসটি নিতে হতো’।

নিয়ম অনুযায়ী কোন দেশের বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ অন্য দেশের আকাশসীমা ব্যবহার করলে প্রায় পাঁচশত ডলার দিতে হতো সে দেশকে। অথচ বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করা এ ধরনের উড়োজাহাজের সিগন্যাল রেজিস্টার করা হতো ভারতের রাডার থেকে। সেই রাজস্ব্যের পুরোটাই হাতিতে নিতো দিল্লী।

এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, সিভিল এভিয়েশেনের সদস্য এয়ার কমোডর একেএম জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যখন একটি বিমান একটি দেশের এয়ারস্প্রেস দিয়ে যায়, সেটা যদি ১০ মিনিটের কম সময়ে সে দেশের এয়ারস্প্রেসকে অতিক্রম করে, সেক্ষেত্রে বিমানটি আগে যে কন্ট্রল ইউনিটের সাথে সংযুক্ত ছিল সেটার মেইনটেন করতে পারে’।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাবেক পরিচালক বলেন, প্রতিদিন ১৫০ থেকে ১৬০ টি এয়ারক্রাফট যাওয়া আসা করে।
আর এসব কারণে বাংলাদেশে স্মাট ও শক্তিশালী রাডার স্থাপনে ভারতের বাধা ছিল তিন যুগ ধরে।

বিশ্বের সকল বিমানবন্দরেই স্থাপিত রাডার সিস্টেম দেশের প্রতিরক্ষা প্রাচীর হিসেবে কাজ করে থাকে। অন্যদেশের বিমান প্রবেশ বা শত্রুপক্ষের আক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর তথ্য দেয় এই ব্যবস্থা।

সূত্র: একুশে টেলিভিশন