তুরস্কের ২৪ ঘণ্টার সামরিক অভিযান ও ড্রোন হামলায় সিরিয়ায় ২৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
শুক্রবার সিরিয়ার এক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক এ কথা জানান।
গত বুধবার আঙ্কারার কাছে সরকারি প্রতিরক্ষা কোম্পানিতে ভয়াবহ হামলায় পাঁচজন নিহত এবং ২২ জন আহত হওয়ার পর এই সামরিক অভিযান জোরদার করে তুরস্ক।
সিরিয়ার মানবাধিকারবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা জানায়, বৃহস্পতিবার থেকে তুর্কি বাহিনী সিরিয়ার উত্তর ও পূর্বে তাদের বিমান ও স্থল হামলা বাড়িয়েছে।
সংস্থাটি আরো জানায়, যুদ্ধবিমান দিয়ে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস স্টেশনসহ অন্যান্য অবকাঠামো লক্ষ্য করে চারটি যুদ্ধ বিমান ও ৪৫টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
তুরস্ক সরকার বলেছে ‘খুব সম্ভব’ নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) হামলা চালিয়েছে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কয়েক ঘন্টা পর ইরাক ও সিরিয়ার উত্তরে সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা চালানো হয়।’
মোট ৩২টি স্থাপনা সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানা মন্ত্রণালয়।
কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এসডিএফ) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, তুর্কি বিমান হামলায় সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছে।
তুরস্কের হামলার খবর জানিয়ে এসডিএফ আরো জানায়, ‘জনবসতিপূর্ণ এলাকা ছাড়াও যুদ্ধবিমান ও ইউএভি ড্রোনগুলো বেকারি, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও তেল স্থাপনাসহ কুর্দিদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর চেকপোস্টগুলো টার্গেট করা হয়।’
মার্কিন-সমর্থিত এসডিএফ ২০১৯ সালে সিরিয়ার ভূ-খণ্ড থেকে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ জিহাদিদের বিতাড়িত করার এক অভিযানে নেতৃত্ব দেয়।
২০১৬ সাল থেকে ক্রমাগত আন্তঃসীমান্তে অভিযানের পর তুর্কি সৈন্য ও মিত্র বিদ্রোহী উপদলগুলো সিরিয়ার বিভিন্ন অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। বেশিভাগই অভিযান এসডিএফকে লক্ষ্য করে চালানো হয়।
সূত্র : বাসস