গাজায় উপত্যকায় ইসরাইলের হামলায় হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরাইল।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ইয়াহিয়া সিনওয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানান ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ।
এ বিবৃতিতে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘(২০২৩ সালের) ৭ অক্টোবরের হত্যার জন্য দায়ী ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে আজ ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) সদস্যরা হত্যা করেছে।’
এর আগে এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানায়, গতকাল গাজার রাফার একটি ভবনে হামাসের কয়েকজন যোদ্ধাকে প্রবেশ করতে দেখে ইসরাইলি সেনারা। এরপর সেখানে হামলা চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়। হামলার পর সেনারা সেখানে যাওয়ার পর সিনওয়ারের মতো দেখতে এক যোদ্ধাসহ মোট তিনজনের লাশ পায় তারা। এরপর আজ লাশগুলোর ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে ওই লাশটি সিনওয়ারেরই ছিল।
আরেকজন ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, সম্ভবত পরিকল্পিত বিমান হামলায় নয়, সরাসরি লড়াইয়ে তিনি নিহত হয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হামাসের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি।
গত ৩১ জুলাই ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠান উপলক্ষে তেহরানে অবস্থানকালে বিমান হামলায় নিহত হন হামাসের তৎকালীন প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এর ৬ দিন পর হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হন ইয়াহিয়া সিনওয়ার।
ইসরাইলের বিশ্বাস, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার অন্যতম প্রধান কারিগর ছিলেন সিনওয়ার। ওই ঘটনার পর থেকেই তাকে হত্যা করতে হন্যে হয়ে খুঁজছিল ইসরাইলের সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দারা।
সিনওয়ারের মৃত্যু হলে তা হামাসের জন্য হবে বড় ধাক্কা। বছরের পর বছর ধরে তিনি গাজা উপত্যকায় হামাসের শীর্ষ নেতা এবং গোষ্ঠীটির সামরিক শাখার সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে আসছিলেন।
উল্লেখ্য, চলতি যুদ্ধে ৪২ হাজার ৪৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া ১২০৬ জন নিহত হয়েছে ইসরাইলে।
সূত্র : বিবিসি, আল জাজিরা, এপি, এএফপি