ইসরাইলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলায় চার সৈন্য নিহত এবং আরো ৬০জন আহত হয়েছে। রোববার রাতে উত্তর-মধ্য ইসরাইলের বিনিয়ামিনার কাছে ওই সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয় বলে ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে।
হিজবুল্লাহ এই হামলা চালানোর দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে, ইসরাইলের গোলানি ব্রিগেডের একটি প্রশিক্ষণ ঘাঁটিকে তারা টার্গেট করেছিল। সেখানে তারা ‘ড্রোনের ঝাঁক’ পাঠিয়েছিল। তারা দাবি করেছে, এই প্রাণঘাতী হামলা প্রমাণ করে যে ইসরাইলের এত আক্রমণের মধ্যেও তাদের সক্ষমতা অটুট রয়ে গেছে।
ইসরাইলি বাহিনী জানায়, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার কিছু পরই ড্রোনগুলো ঝাঁপিয়ে পড়ে। হিব্রু মিডিয়া জানায়, ঘাঁটির ডাইনিং হলে এগুলো আঘাত হানে।
‘ভারত জানতো, কিন্তু হাসিনা তার পতন হবে কখনো ধারণাও করেননি’
নিহত চার সৈন্যের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আরো সাত সৈন্য মারত্মকভাবে আহত হয়েছে। এছাড়া অন্য ১৪ সৈন্য মোটামুটিভাবে আহত হয়েছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, হিজবুল্লাহর দুটি ড্রোন সমুদ্রপথে প্রবেশ করে। দুটিই ছিল ‘মিরসাদ’ ডোন। এগুলো ইরানে আবাবিল-টি ড্রোন নামে পরিচিত। এগুলোই হিজবুল্লাহর প্রধান আত্মঘাতী ড্রোন। এর আগে তারা এই ড্রোন ব্যবহার করেনি।
ইসরাইলের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আলমা সেন্টার জানিয়েছে, এসব ড্রোন ১২০ কিলোমিটার দূরে ঘণ্টায় ৩৭০ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানতে পারে। এগুলোতে ৪০ কেজি পর্যন্ত বিস্ফোরক থাকে।
ইসরাইলি বাহিনী জানায়, তাদের রাডার দুটি ড্রোন শনাক্ত করে। তাদের বিমান ও হেলিকপ্টার একটিকে ভূপাতিত করে। তবে অপরটি রাডার ফাঁকি দিয়ে টার্গেটে হামলা করতে সক্ষম হয়।
ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, রোববার হিজবুল্লাহ মোট ১১৫টির ড্রোন পাঠিয়েছিল।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল
বিডি/জেডআর