9:22 pm, Sunday, 22 December 2024

১১ ঘণ্টা চেষ্টার পর এলপিজিবাহী জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

সোয়া ১১ ঘণ্টা চেষ্টার পর কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় এলপিজিবাহী জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে অগ্নিনির্বাপনী ও উদ্ধারকারী দল। এছাড়া জাহাজের ৩১ জন ক্রুকেও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি। তবে জাহাজটির ভেতরে পুনরায় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এড়াতে অগ্নিনির্বাপনী ও উদ্ধারকারী দল এখনও কাজ চালাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন / ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ১৫ জন পেলেন ১৫ লাখ টাকা
এর আগে শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ার উপকূলের পশ্চিমে বহিঃনোঙর এলাকায় ‘সোফিয়া’ নামের লাইটারেজ জাহাজটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। গত দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের জলসীমায় জ্বালানিবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের তৃতীয় ঘটনা এটি। তবে জাহাজটি কোন দেশ থেকে আসছিল এবং কি পরিমাণ এলপিজি ছিল তা জানা যায়নি।

কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি জানান, লাইটারেজ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার পথে কুতুবদিয়া উপকূলের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে নোঙর করেছিল। শনিবার মধ্যরাতে জাহাজটিতে আকস্মিক আগুন লেগে যায় এবং পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ পায়। কুতুবদিয়ার উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ক্রুদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে কোস্ট গার্ডের দুটি জাহাজ এবং নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ।

তিনি আরও বলেন, জাহাজটিতে মোট ৩১ জন ক্রু ছিলেন। তাদের সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে রাখা হয়েছে। এটি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি কোন ধরনের নাশকতা- তা জানতে কোস্ট গার্ডসহ সংশ্লিষ্টরা খোঁজ খবর নিচ্ছে বলেও জানান খন্দকার মুনিফ তকি।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন জেটিতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন ‘বাংলার জ্যোতি’ নামের একটি অয়েল ট্যাংকারে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। ওই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। এরপর ৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে ‘বাংলার সৌরভ’ নামের আরেকটি তেলবাহী জাহাজে আগুন লাগে। ওই জাহাজটিও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট

Bangladesh Diplomat | বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট | A Popular News Portal Of Bangladesh.

১১ ঘণ্টা চেষ্টার পর এলপিজিবাহী জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে

Update Time : 05:35:37 pm, Sunday, 13 October 2024

সোয়া ১১ ঘণ্টা চেষ্টার পর কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় এলপিজিবাহী জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে অগ্নিনির্বাপনী ও উদ্ধারকারী দল। এছাড়া জাহাজের ৩১ জন ক্রুকেও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি। তবে জাহাজটির ভেতরে পুনরায় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এড়াতে অগ্নিনির্বাপনী ও উদ্ধারকারী দল এখনও কাজ চালাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন / ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ১৫ জন পেলেন ১৫ লাখ টাকা
এর আগে শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ার উপকূলের পশ্চিমে বহিঃনোঙর এলাকায় ‘সোফিয়া’ নামের লাইটারেজ জাহাজটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। গত দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের জলসীমায় জ্বালানিবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের তৃতীয় ঘটনা এটি। তবে জাহাজটি কোন দেশ থেকে আসছিল এবং কি পরিমাণ এলপিজি ছিল তা জানা যায়নি।

কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি জানান, লাইটারেজ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার পথে কুতুবদিয়া উপকূলের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে নোঙর করেছিল। শনিবার মধ্যরাতে জাহাজটিতে আকস্মিক আগুন লেগে যায় এবং পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ পায়। কুতুবদিয়ার উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ক্রুদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে কোস্ট গার্ডের দুটি জাহাজ এবং নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ।

তিনি আরও বলেন, জাহাজটিতে মোট ৩১ জন ক্রু ছিলেন। তাদের সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে রাখা হয়েছে। এটি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি কোন ধরনের নাশকতা- তা জানতে কোস্ট গার্ডসহ সংশ্লিষ্টরা খোঁজ খবর নিচ্ছে বলেও জানান খন্দকার মুনিফ তকি।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন জেটিতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন ‘বাংলার জ্যোতি’ নামের একটি অয়েল ট্যাংকারে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। ওই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। এরপর ৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে ‘বাংলার সৌরভ’ নামের আরেকটি তেলবাহী জাহাজে আগুন লাগে। ওই জাহাজটিও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন।