11:19 pm, Monday, 7 October 2024

কেন নাসরুল্লাহ হত্যায় নীরব তুরস্ক?

  • Zuel Rana
  • Update Time : 03:42:01 pm, Tuesday, 1 October 2024
  • 23

কেন নাসরুল্লাহ হত্যায় নীরব তুরস্ক?

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech
কেন নাসরুল্লাহ হত্যায় নীরব তুরস্ক?

হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর হত্যার বিষয়ে সাবধানী মন্তব্য করেছে তুরস্ক। মূলত সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর লেবাননের এই গোষ্ঠীটি বাশার আল-আসাদকে সমর্থন দেওয়াই তুরস্কের সঙ্গে বিরোধের কারণ। বিশ্লেষকদের মতে, এ কারণে তারা নাসরুল্লাহর হত্যায় স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া জানাতে চাইছে না।

সম্প্রতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান আরব নেতাদের সঙ্গে একত্রে ইসরাইলের লেবাননের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এরদোগান বলেন, লেবানন ও লেবাননের জনগণ হলো ইসরাইলের গণহত্যা, দখল এবং আগ্রাসনের সর্বশেষ লক্ষ্য।

তবে তার বক্তব্যে নাসরুল্লাহর হত্যার কথা তিনি উল্লেখ করেননি।

নাসরুল্লাহ, যিনি ৩২ বছর ধরে হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দিয়েছেন, শুক্রবার ইসরাইলের একটি হামলায় নিহত হন। ধারণা করা হচ্ছে, হামলায় ১০টি মার্কিন তৈরি বিএলইউ-১০৯ বাঙ্কার-বাস্টার বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল।

শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান নাসরুল্লাহর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন, কিন্তু হামলার নিন্দা জানানোর বদলে বলেছেন, এটি ইরানের প্রতিরোধের অক্ষের বিরুদ্ধে আঘাত করেছে।

তিনি বলেন, আমি সত্যিই মনে করি, তার অনুপস্থিতির যে শূন্যতা রয়েছে, তা পূরণ করা কঠিন হবে। নাসরুল্লাহর মৃত্যু হিজবুল্লাহ এবং ইরানের জন্য একটি বড় ক্ষতি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ফিদান আরও জানান, তিনি ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার ১০ দিন পর বৈরুতের একটি কঠিন পরিস্থিতিতে নাসরুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্ব নেতারা। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইরান সমর্থিত এই সশস্ত্র সংগঠনের প্রধানের হত্যায় মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তীব্র হয়েছে।

সূত্র: মিডিলিস্ট আই

বিডি/জেডআর

Write Your Comment

About Author Information

Zuel Rana

কেন নাসরুল্লাহ হত্যায় নীরব তুরস্ক?

Update Time : 03:42:01 pm, Tuesday, 1 October 2024
কেন নাসরুল্লাহ হত্যায় নীরব তুরস্ক?

হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর হত্যার বিষয়ে সাবধানী মন্তব্য করেছে তুরস্ক। মূলত সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর লেবাননের এই গোষ্ঠীটি বাশার আল-আসাদকে সমর্থন দেওয়াই তুরস্কের সঙ্গে বিরোধের কারণ। বিশ্লেষকদের মতে, এ কারণে তারা নাসরুল্লাহর হত্যায় স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া জানাতে চাইছে না।

সম্প্রতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান আরব নেতাদের সঙ্গে একত্রে ইসরাইলের লেবাননের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এরদোগান বলেন, লেবানন ও লেবাননের জনগণ হলো ইসরাইলের গণহত্যা, দখল এবং আগ্রাসনের সর্বশেষ লক্ষ্য।

তবে তার বক্তব্যে নাসরুল্লাহর হত্যার কথা তিনি উল্লেখ করেননি।

নাসরুল্লাহ, যিনি ৩২ বছর ধরে হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দিয়েছেন, শুক্রবার ইসরাইলের একটি হামলায় নিহত হন। ধারণা করা হচ্ছে, হামলায় ১০টি মার্কিন তৈরি বিএলইউ-১০৯ বাঙ্কার-বাস্টার বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল।

শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান নাসরুল্লাহর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন, কিন্তু হামলার নিন্দা জানানোর বদলে বলেছেন, এটি ইরানের প্রতিরোধের অক্ষের বিরুদ্ধে আঘাত করেছে।

তিনি বলেন, আমি সত্যিই মনে করি, তার অনুপস্থিতির যে শূন্যতা রয়েছে, তা পূরণ করা কঠিন হবে। নাসরুল্লাহর মৃত্যু হিজবুল্লাহ এবং ইরানের জন্য একটি বড় ক্ষতি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ফিদান আরও জানান, তিনি ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার ১০ দিন পর বৈরুতের একটি কঠিন পরিস্থিতিতে নাসরুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্ব নেতারা। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইরান সমর্থিত এই সশস্ত্র সংগঠনের প্রধানের হত্যায় মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তীব্র হয়েছে।

সূত্র: মিডিলিস্ট আই

বিডি/জেডআর