গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিন এবং পরবর্তী দিনগুলোতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্তি লাঞ্চনার সাথে ভাঙ্গা হয় আর এর জন্য হাসিনা নিজেই দায়ী বলে দাবি করলেন খেলফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক।
আজ ঐতিহ্যবাহী গাজীপুর রাজবাড়ী মাঠে খেলাফত মজলিস গাজীপুর কর্তৃক আয়োজিত বিশাল এক জনসভায় বক্তৃতাকালে এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন বিগত প্রায় দেড় যুগ হসিনা সরকারের নির্যাতন,গুম ও খুনের রাজনীতি থেকে এদেশের আপামর জনসাধারণ মুক্তি পেয়েছে। হাসিনা পালিয়ে গেলেও প্রশাসনের বড় বড় চেয়ারে ঘাপটি মেরে বসে আছে কর্তাবাবুরা তাদেরকে বিতাড়িত করতে না পারলে সত্যিকারের বিজয় আনা সম্ভব না।
ছাত্র-জনতার এই বিজয়কে কোন মহল যাতে ভুলণ্ঠিত করতে না পারে সেদিকে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি বলেন আমার আপসোস হয়, আওয়ামী লীগের যারা নেতা কর্মী তাদের দেখলে বড় দুঃখ লাগে কিভাবে তাদেরকে অনিরাপদে রেখে দেশ থেকে পালিয়ে গেল। এরশাদ এমনকি খালেদা জিয়াও ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন কিন্তু পলায়ন করেননি।
তিনি বলেন এদেশের মানুষ ইসলাম প্রিয়। বহু লড়াই সংগ্রাম করে এদেশে ইসলাম এসেছে। এই ইসলাম ও কুরআনের উপর কোন আঘাত আসলে এদেশের ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতা তা রুখে দিবে। সবাইকে একতাবদ্ধ হয়ে ইসলামের সুমহান মর্যাদা ধরে রাখতে হবে।
বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীও এই সমাবেশে উপস্থিত ছিল। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আমরা যে যেভাবেই ইসলামের খেদমত করি সমস্যা নাই কিন্তু জাতীয় ইস্যুতে আমরা এক। ঐক্যবদ্ধভাবে বাতিলের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
সম্প্রতী বাতিল হওয়া শিক্ষা কমিশন নিয়েও তিনি বলেন আমাদের প্রাথমিক বিজয় হলেও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করব কারা এদেশের শিক্ষা কমিশনে বসে, কোন ইসলাম বিদ্বেষীকে শিক্ষা কমিশনে বসতে দেওয়া হবেনা।
ট্রান্সজেন্ডারের নামে সমকামিতা প্রমোট করলে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ার করে দেন। এছাড়াও ইসলামের বিরুদ্ধে যেকোন ষড়যন্ত্র রেখে দেওয়া হবে বলে তিনি দৃঢ়তা দেখান।
সমেবেশে শুরু হয়েছিল বিকাল ৪ টা থেকে। শেষ হয় রাত সাড়ে ১০ টায়। খেলাফত মজলিসের এই সমাবেশে মাওলানা মামুনুল হক ছাড়াও কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। তাদের দলীয় প্রতীক রিক্সার পাশে সবাইকে থাকার জন্য উপস্থিত জনতাকে দাওয়াত দেন নেতারা।
বিডি/জেডআর