10:27 pm, Sunday, 22 December 2024

  • Zuel Rana
  • Update Time : 08:12:48 pm, Sunday, 22 September 2024
  • 104

মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

জুমার নামাজের সময় দুই পক্ষের মারামারির ঘটনার পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা রুহুল আমিনকে অপসারণ করা হয়েছে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিনকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

রুহুল আমিন পলাতক অবস্থা থেকে গত শুক্রবার হঠাৎ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ পড়াতে গেলে মুফতি রুহুল আমিনের পেছনে নামাজ পড়া না পড়া নিয়ে দুই পক্ষের মুসল্লিরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজ শুরুর আগে বায়তুল মোকাররমের দায়িত্বপ্রাপ্ত খতিব হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এ সময় মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসে খতিবের মাইক্রোফোনে হাত দেন। তখন খতিবের অনুসারীরা রুহুল আমিনের অনুসারীদের প্রতিরোধ করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এতে আহত অন্তত ছয়জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ঘটনায় ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, জাতীয় মসজিদে এ ধরনের হামলা ও ক্ষতিসাধনের ঘটনা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত, নিন্দনীয় ও জঘন্য অপরাধ। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার বদ্ধপরিকর।

Write Your Comment

About Author Information

Zuel Rana

Update Time : 08:12:48 pm, Sunday, 22 September 2024

জুমার নামাজের সময় দুই পক্ষের মারামারির ঘটনার পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা রুহুল আমিনকে অপসারণ করা হয়েছে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিনকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

রুহুল আমিন পলাতক অবস্থা থেকে গত শুক্রবার হঠাৎ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ পড়াতে গেলে মুফতি রুহুল আমিনের পেছনে নামাজ পড়া না পড়া নিয়ে দুই পক্ষের মুসল্লিরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজ শুরুর আগে বায়তুল মোকাররমের দায়িত্বপ্রাপ্ত খতিব হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এ সময় মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসে খতিবের মাইক্রোফোনে হাত দেন। তখন খতিবের অনুসারীরা রুহুল আমিনের অনুসারীদের প্রতিরোধ করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এতে আহত অন্তত ছয়জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ঘটনায় ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, জাতীয় মসজিদে এ ধরনের হামলা ও ক্ষতিসাধনের ঘটনা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত, নিন্দনীয় ও জঘন্য অপরাধ। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার বদ্ধপরিকর।