4:27 pm, Sunday, 6 October 2024

রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় আসামি সাবেক তিন সিইসি

  • Zuel Rana
  • Update Time : 09:21:46 pm, Wednesday, 18 September 2024
  • 39

সাবেক সিইসি কাজী রাকিব উদ্দিন আহমেদ, কে এম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech
রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় আসামি সাবেক তিন সিইসি

অবৈধ ও প্রতারণামূলক নির্বাচন আয়োজনের অভিযোগে সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে ২০১৪ সালে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রাকিব উদ্দিন আহমেদকে। এরপর পর্যায়ক্রমে আসামি করা হয়েছে ওই নির্বাচন কমিশনে দায়িত্বে থাকা চার নির্বাচন কমিশনার ছাড়া ২০১৮ সালে ও ২০২৪ সালে দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আইয়ালসহ কমিশনের সচিব ও অন্য সদস্যদের।

মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ তিন সংসদে থাকা সংসদ সদস্যদের।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ কাজী শরিফুল হকের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন চট্টগ্রামে বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম। আদালত মামলা গ্রহণ করে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

একরামুল করিমের আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, ২০১৪, ‘১৮ ও ‘২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে বিরোধীদলসহ অনেক জনপ্রিয় নেতার অংশগ্রহণ ছিল না। সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।

‘যারা কমিশনে ছিলেন তাদের ব্যর্থতার কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নির্বাচনী মাঠে একপেশে আচরণ করেছে। বিপুল টাকা ব্যয়ে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তাতে সংবিধানের খেলাপ করেছেন কমিশনারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা,’ যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, এসব কারণে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। আর ওইসব ভোটে নির্বাচিত হয়ে অবৈধভাবে সুযোগ সুবিধা ভোগ করায় সাংসদদেরকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

Write Your Comment

About Author Information

Zuel Rana

রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় আসামি সাবেক তিন সিইসি

Update Time : 09:21:46 pm, Wednesday, 18 September 2024
রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় আসামি সাবেক তিন সিইসি

অবৈধ ও প্রতারণামূলক নির্বাচন আয়োজনের অভিযোগে সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে ২০১৪ সালে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রাকিব উদ্দিন আহমেদকে। এরপর পর্যায়ক্রমে আসামি করা হয়েছে ওই নির্বাচন কমিশনে দায়িত্বে থাকা চার নির্বাচন কমিশনার ছাড়া ২০১৮ সালে ও ২০২৪ সালে দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আইয়ালসহ কমিশনের সচিব ও অন্য সদস্যদের।

মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ তিন সংসদে থাকা সংসদ সদস্যদের।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ কাজী শরিফুল হকের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন চট্টগ্রামে বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম। আদালত মামলা গ্রহণ করে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

একরামুল করিমের আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, ২০১৪, ‘১৮ ও ‘২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে বিরোধীদলসহ অনেক জনপ্রিয় নেতার অংশগ্রহণ ছিল না। সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।

‘যারা কমিশনে ছিলেন তাদের ব্যর্থতার কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নির্বাচনী মাঠে একপেশে আচরণ করেছে। বিপুল টাকা ব্যয়ে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তাতে সংবিধানের খেলাপ করেছেন কমিশনারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা,’ যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, এসব কারণে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। আর ওইসব ভোটে নির্বাচিত হয়ে অবৈধভাবে সুযোগ সুবিধা ভোগ করায় সাংসদদেরকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।