দু’দিন আগেই ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইয়েমেনের বিদ্রোহী শিয়া গোষ্ঠী হাউছিরা। রোববার রাতে হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বা তার বেশি গতিসম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরাইলের মধ্যাঞ্চলে হামলা চালানো হয়। হামলায় হাউছিরা যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যবহার করেছিল, সেটির নাম ‘প্যালেস্টাইন ২’।
একেবারে নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। ইসরাইলে হামলায় নিজেদের গোপন অস্ত্র ব্যবহার করে পশ্চিমি দুনিয়াকে চমকে দিয়েছে হাউছিরা। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৯৭৫৬ কিলোমিটার। সর্বাধিক দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে ২১৫০ কিলোমিটার। এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে সম্প্রতি ইয়েমেন সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হয়। এর গতি ম্যাক ১৬। অর্থাৎ, ঘণ্টায় ১৯৭৫৬ কিলোমিটার। যেকোনো দেশের ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’-কে ভেঙে তছনছ করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে এই ক্ষেপণাস্ত্র।
ক্ষেপণাস্ত্রটির আরও একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, মাঝপথ থেকেই এটি গতিমুখ বদলাতে পারে প্রয়োজন মতো। ফলে ‘শত্রু’ দেশের কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পাল্টা হামলা চালালেও তা পাশ কাটিয়ে নিশানার দিকে এগোতে থাকে ‘প্যালেস্টাইন ২’। হাউছিদের হাতে আসা এই ক্ষেপণাস্ত্রই এখন আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ইসরাইলে হামলা চালায় হাউছিরা। সেই হামলার পর থেকেই পশ্চিম দুনিয়ার শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে হাউছি বিদ্রোহীদের হাতে এই প্রযুক্তি কোথা থেকে এলো?
এই হামলার পর ইসরাইল প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, হাউছি বিদ্রোহীদের এর ফল ভুগতে হবে। ইরানই কি হাউছি বিদ্রোহীদের এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে? এই জল্পনা যখন ঘুরতে শুরু করেছে, ইরান কিন্তু সম্পূর্ণভাবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এই হামলা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছে তারা।
ইরানের পাল্টা দাবি, ১৪০০ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে এমন ফতহ-১ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তাদের হাতে রয়েছে। তবে ‘প্যাল্টেস্টাইন ২’-এর মতো কোনো ক্ষেপণাস্ত্র বা প্রযুক্তি ইয়েমেনকে দেয়া হয়নি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা