ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার কারণে এখন থেকে সেনাসদস্যরা তল্লাসি চালানো, জব্দ করা, গ্রেফতার করার মতো সিদ্ধান্ত বা আদেশ দিতে পারবে। আগে এ ধরনের ব্যবস্থা নিতে বেসরকারি প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদন দরকার হতো। কিন্তু এখন কমিশন্ড সেনা অফিসাররা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বা আদেশ দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা বিবিসি বাংলাকে বলেন, এ ধরনের নজীর অতীতেও রয়েছে। এটি আনইউজুয়াল কোন ঘটনা নয়।
এর ফলে সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসাররা বেআইনি জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে হলে যে সমস্ত ক্ষমতা সিআরপিসিতে দেয়া আছে সেসমস্ত তারা ব্যবহার করতে পারবে বলে জানান পুলিশের এই সাবেক মহাপরিদর্শক। ।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা ধারাগুলোর কথা জানালে মি. হুদা বলেন, “ ওই ধারা মোতাবেকই দেয়া যায় তাদেরকে। কমিশন্ড অফিসাররা যখন চার্জ(ক্ষমা গ্রহণ করা) নিবে তখন তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার এক্সেস (নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ) করতে পারে। জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে করছে বলেই সরকার করছে। এর নজীর আছে”।
মি. হুদা বলেন, “ সার্চ, সিজার (জব্দ করা) এসব ক্ষমতা। কিছু কিছু অপরাধ সংক্রান্ত যাদেরকে সার্চ করা লাগে, এরেস্ট করা লাগে সেই ক্ষমতাগুলো দেয়া হচ্ছে। ”
বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট/এমআইজে