7:01 am, Thursday, 19 September 2024

শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস

প্রতিকী ছবি

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech
শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস

পরিকল্পিত এজেন্ডা বাস্তবায়ন না কি অন্য কোন ঘটনা তা এখনই সবার বোধগম্যে আসছে না। রুটিন করে করা হচ্ছে শেখ হাসিনার ফোন ফাঁস যেখানে পাওয়া যাচ্ছে ভয়ঙ্কর নানা তথ্য।

ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার বেশকিছু দিন পরে শেখ হাসিনার একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিকমাধ্যমে। ওই ফোনালাপে তানভীর নামে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানে নিজেকে এখনও প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন শেখ হাসিনা। এছাড়া মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) এ ফোনালাপ ফাঁস হয়। পাঠকদের জন্য ফোনালাপের অংশ দেয়া হলো-

তানভীর: আপা আপনার কাছে ফোন দিয়েছি একটা ব্যাপারে, নিউইয়র্ক মহানগরে আমরা এমদাদ ভাইয়ের নেতৃত্বে মিটিং মিছিল করছি। কিন্তু এলাকার পরিস্থিতি খুব খারাপ। কামরাঙ্গীর চর-কেরাণীগঞ্জের সকল নেতাকর্মী এলাকার বাইরে।

শেখ হাসিনা: সব মার্ডার কেস। সবার বিরুদ্ধে মার্ডার কেস।

তানভীর: এলাকার ছাত্রলীগ-যুবলীগকে আমি সহায়তা করছি। আপনি যদি বলেন তুমি এখানে থেকে ওদের হেল্প করো, করলাম। আর যদি বলেন তুমি দেশে গিয়ে দল গোছানোর চেষ্টা করো তাহলে করবো আপা। আপনার সিদ্ধান্ত আপা।

শেখ হাসিনা: এখানে বসে এখন সাহায্য করো। এটাই সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে। দেশে পরে গেলেও হবে।

তানভীর: আইনজীবীরা দাঁড়াতে পারছে না। এই বিষয়ে যদি আপনি পরামর্শ দিতেন…

শেখ হাসিনা: আইনজীবীদের বলো লোকজনকে অরগানাইজ করে যেন আইনজীবীরা সেখানে যায়।

তানভীর: তাছাড়া তো আর কোনো…

শেখ হাসিনা: তুমি যেখানে আছো সেখানে তো ইলেকশন চলছে। তাদের ক্যাম্পেইনিংয়ের সময় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, ক্যাম্পেইনিংয়ে সহযোগিতা করার সাথে সাথে এই বিষয়গুলো জানিয়ে রাখা। এদের কাছ থেকে একটা সাপোর্ট নিয়ে আসা।

তানভীর: আমার মনে হয় এবার ট্রাম্প আসবে। ট্রাম্প আসলে আমাদের জন্য খুবই ভালো আপা।

শেখ হাসিনা: সে যেই আসুক। তাদের ক্যাম্পেইনে থাকলে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হলে ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। এটা আমি সবাইকে বলেও দিয়েছি।

তানভীর: আপা বাংলাদেশে একটা নিউজ আসছে, আপনাকে গাজিয়াবাদ থেকে দিল্লিতে ট্রান্সফার করছে হেলিকপ্টারে করে? ছবি পাঠাইও দেখবোনে। কী একটা আজগুবি কথা বলে ওরা। আমি দেশের খুব কাছাকাছি আছি। অতদূরে নাই। আমি খুব কাছাকাছিই আছি, যাতে আমি চট করে ঢুকে পড়তে পারি।

(কাঁদতে কাঁদতে) তানভীর: আপা কষ্ট লাগে, আপনি যে মিডিয়াদের দিয়ে আসছেন, এরা সত্য বলে না, এরা কাজ করে না আপা। কই যাবো আপা। আল্লাহ আপনারে বাঁচাই রাখুক। আমরা আছি আপা। আপনি যখন নির্দেশ দেবেন, তানভীর তুমি আমেরিকা থেকে দেশে চলে আসো, এসে কামরাঙ্গীরচর-কেরাণীগঞ্জে দলীয় নেতৃত্ব গোছাও, আপনি বললে সাথে সাথে দৌঁড় দেব আপা।

শেখ হাসিনা: এখন গেলেই দেবে একখানা মামলা, শেষে কিছুই করতে পারবা না। আমার বিরুদ্ধে ১১৩টা মামলা। এইসব জিনিসগুলো নিয়ে জাতিসংঘ থেকে সবার কাছে বলা দরকার, ফলস মামলা দিচ্ছে। আমার পরিবারের কেউ বাকি নাই। সবার নামে মামলা।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

Popular Post

শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস

Update Time : 04:35:26 pm, Friday, 13 September 2024
শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস

পরিকল্পিত এজেন্ডা বাস্তবায়ন না কি অন্য কোন ঘটনা তা এখনই সবার বোধগম্যে আসছে না। রুটিন করে করা হচ্ছে শেখ হাসিনার ফোন ফাঁস যেখানে পাওয়া যাচ্ছে ভয়ঙ্কর নানা তথ্য।

ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার বেশকিছু দিন পরে শেখ হাসিনার একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিকমাধ্যমে। ওই ফোনালাপে তানভীর নামে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানে নিজেকে এখনও প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন শেখ হাসিনা। এছাড়া মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) এ ফোনালাপ ফাঁস হয়। পাঠকদের জন্য ফোনালাপের অংশ দেয়া হলো-

তানভীর: আপা আপনার কাছে ফোন দিয়েছি একটা ব্যাপারে, নিউইয়র্ক মহানগরে আমরা এমদাদ ভাইয়ের নেতৃত্বে মিটিং মিছিল করছি। কিন্তু এলাকার পরিস্থিতি খুব খারাপ। কামরাঙ্গীর চর-কেরাণীগঞ্জের সকল নেতাকর্মী এলাকার বাইরে।

শেখ হাসিনা: সব মার্ডার কেস। সবার বিরুদ্ধে মার্ডার কেস।

তানভীর: এলাকার ছাত্রলীগ-যুবলীগকে আমি সহায়তা করছি। আপনি যদি বলেন তুমি এখানে থেকে ওদের হেল্প করো, করলাম। আর যদি বলেন তুমি দেশে গিয়ে দল গোছানোর চেষ্টা করো তাহলে করবো আপা। আপনার সিদ্ধান্ত আপা।

শেখ হাসিনা: এখানে বসে এখন সাহায্য করো। এটাই সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে। দেশে পরে গেলেও হবে।

তানভীর: আইনজীবীরা দাঁড়াতে পারছে না। এই বিষয়ে যদি আপনি পরামর্শ দিতেন…

শেখ হাসিনা: আইনজীবীদের বলো লোকজনকে অরগানাইজ করে যেন আইনজীবীরা সেখানে যায়।

তানভীর: তাছাড়া তো আর কোনো…

শেখ হাসিনা: তুমি যেখানে আছো সেখানে তো ইলেকশন চলছে। তাদের ক্যাম্পেইনিংয়ের সময় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, ক্যাম্পেইনিংয়ে সহযোগিতা করার সাথে সাথে এই বিষয়গুলো জানিয়ে রাখা। এদের কাছ থেকে একটা সাপোর্ট নিয়ে আসা।

তানভীর: আমার মনে হয় এবার ট্রাম্প আসবে। ট্রাম্প আসলে আমাদের জন্য খুবই ভালো আপা।

শেখ হাসিনা: সে যেই আসুক। তাদের ক্যাম্পেইনে থাকলে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হলে ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। এটা আমি সবাইকে বলেও দিয়েছি।

তানভীর: আপা বাংলাদেশে একটা নিউজ আসছে, আপনাকে গাজিয়াবাদ থেকে দিল্লিতে ট্রান্সফার করছে হেলিকপ্টারে করে? ছবি পাঠাইও দেখবোনে। কী একটা আজগুবি কথা বলে ওরা। আমি দেশের খুব কাছাকাছি আছি। অতদূরে নাই। আমি খুব কাছাকাছিই আছি, যাতে আমি চট করে ঢুকে পড়তে পারি।

(কাঁদতে কাঁদতে) তানভীর: আপা কষ্ট লাগে, আপনি যে মিডিয়াদের দিয়ে আসছেন, এরা সত্য বলে না, এরা কাজ করে না আপা। কই যাবো আপা। আল্লাহ আপনারে বাঁচাই রাখুক। আমরা আছি আপা। আপনি যখন নির্দেশ দেবেন, তানভীর তুমি আমেরিকা থেকে দেশে চলে আসো, এসে কামরাঙ্গীরচর-কেরাণীগঞ্জে দলীয় নেতৃত্ব গোছাও, আপনি বললে সাথে সাথে দৌঁড় দেব আপা।

শেখ হাসিনা: এখন গেলেই দেবে একখানা মামলা, শেষে কিছুই করতে পারবা না। আমার বিরুদ্ধে ১১৩টা মামলা। এইসব জিনিসগুলো নিয়ে জাতিসংঘ থেকে সবার কাছে বলা দরকার, ফলস মামলা দিচ্ছে। আমার পরিবারের কেউ বাকি নাই। সবার নামে মামলা।