4:06 am, Friday, 20 September 2024

ছাত্র পরিচয় দিয়ে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে একদল তরুণের এলাহীকান্ড!

ছবিঃ সংগৃহিত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech
ছাত্র পরিচয় দিয়ে কক্সবাজার এক্সপ্রেস  ট্রেনে একদল তরুণের এলাহীকান্ড!

টিকিট না কেটেই ট্রেনে করে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে আসতে চেয়েছিলেন ২০-২৫ জন তরুণ। এতে বাধা দেন রেলের কর্মীরা। শুরু হয় বাগ্‌বিতণ্ডা। একপর্যায়ে রেলকর্মীদের বাধা উপেক্ষা করে তিনজন ছাড়া অন্য সবাই ট্রেনে উঠে পড়েন। এমন অবস্থায় ট্রেন ছেড়ে দিলে আবার ট্রেনের ভেতরে হট্টগোল শুরু করেন তরুণেরা। ট্রেন পেছন দিকে এনে অন্য তিনজনকে নেওয়ার আবদারও করেন তাঁরা। তাঁদের কথা না শুনলে ট্রেনের ভেতরে দায়িত্বরত রেলকর্মীদের লাঞ্ছিত করেন তরুণেরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসে এ ঘটনা ঘটে। দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার স্টেশন থেকে এই ট্রেন ছাড়ে। তরুণদের বিশৃঙ্খলার কারণে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে ট্রেন থামাতে বাধ্য হন লোকোমাস্টার (ট্রেনচালক)। অবশ্য ট্রেনে যাত্রী হিসেবে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজার স্টেশনে ২০-২৫ জনের একদল তরুণ বিনা টিকিটে কক্সবাজার এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রামে আসতে চান। তাঁরা নিজেদের ছাত্র পরিচয় দেন। টিকিট ছাড়া ট্রেন ভ্রমণ করা সম্ভব না বলা হলেও তা গুরুত্ব দেননি। একপ্রকার জোর করেই ট্রেনে উঠে পড়েন তাঁরা; কিন্তু তিনজন ট্রেনে উঠতে পারেননি।

এই তিনজনকে রেখে ট্রেন ছেড়ে দিলে চলতি পথে ট্রেনের ভেতরে থাকা রেলকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও হাতাহাতি করতে থাকেন বলে জানান রেল কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ওই তরুণেরা ট্রেনের ভেতরে জিনিসপত্রও ভাঙচুর করতে থাকেন। এমনকি ট্রেন থামিয়ে আবার কক্সবাজার স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেন। এর মধ্যে ট্রেন ছয় কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। এ অবস্থায় ট্রেন আবার পেছনে নিয়ে গেলে দুর্ঘটনার শঙ্কা আছে। আর গন্তব্যে পৌঁছতেও বিলম্ব হবে। তা ট্রেনের অভ্যন্তরে থাকা সাউন্ডসিস্টেমে ঘোষণা করা হলে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

এরপর ট্রেনে থাকা একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ও তাঁর সঙ্গে থাকা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর হন বলে জানান রেলওয়ের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, যাত্রীদের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তরুণদের নিবৃত্ত করেন। পরে আর কক্সবাজার না গিয়ে সোজা চট্টগ্রাম চলে আসে। এরপর বিনা টিকিটে ভ্রমণ করার কারণে ওই তরুণদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করে চট্টগ্রাম স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

Popular Post

ছাত্র পরিচয় দিয়ে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে একদল তরুণের এলাহীকান্ড!

Update Time : 01:10:09 am, Friday, 13 September 2024
ছাত্র পরিচয় দিয়ে কক্সবাজার এক্সপ্রেস  ট্রেনে একদল তরুণের এলাহীকান্ড!

টিকিট না কেটেই ট্রেনে করে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে আসতে চেয়েছিলেন ২০-২৫ জন তরুণ। এতে বাধা দেন রেলের কর্মীরা। শুরু হয় বাগ্‌বিতণ্ডা। একপর্যায়ে রেলকর্মীদের বাধা উপেক্ষা করে তিনজন ছাড়া অন্য সবাই ট্রেনে উঠে পড়েন। এমন অবস্থায় ট্রেন ছেড়ে দিলে আবার ট্রেনের ভেতরে হট্টগোল শুরু করেন তরুণেরা। ট্রেন পেছন দিকে এনে অন্য তিনজনকে নেওয়ার আবদারও করেন তাঁরা। তাঁদের কথা না শুনলে ট্রেনের ভেতরে দায়িত্বরত রেলকর্মীদের লাঞ্ছিত করেন তরুণেরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসে এ ঘটনা ঘটে। দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার স্টেশন থেকে এই ট্রেন ছাড়ে। তরুণদের বিশৃঙ্খলার কারণে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে ট্রেন থামাতে বাধ্য হন লোকোমাস্টার (ট্রেনচালক)। অবশ্য ট্রেনে যাত্রী হিসেবে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজার স্টেশনে ২০-২৫ জনের একদল তরুণ বিনা টিকিটে কক্সবাজার এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রামে আসতে চান। তাঁরা নিজেদের ছাত্র পরিচয় দেন। টিকিট ছাড়া ট্রেন ভ্রমণ করা সম্ভব না বলা হলেও তা গুরুত্ব দেননি। একপ্রকার জোর করেই ট্রেনে উঠে পড়েন তাঁরা; কিন্তু তিনজন ট্রেনে উঠতে পারেননি।

এই তিনজনকে রেখে ট্রেন ছেড়ে দিলে চলতি পথে ট্রেনের ভেতরে থাকা রেলকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও হাতাহাতি করতে থাকেন বলে জানান রেল কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ওই তরুণেরা ট্রেনের ভেতরে জিনিসপত্রও ভাঙচুর করতে থাকেন। এমনকি ট্রেন থামিয়ে আবার কক্সবাজার স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেন। এর মধ্যে ট্রেন ছয় কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। এ অবস্থায় ট্রেন আবার পেছনে নিয়ে গেলে দুর্ঘটনার শঙ্কা আছে। আর গন্তব্যে পৌঁছতেও বিলম্ব হবে। তা ট্রেনের অভ্যন্তরে থাকা সাউন্ডসিস্টেমে ঘোষণা করা হলে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

এরপর ট্রেনে থাকা একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ও তাঁর সঙ্গে থাকা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর হন বলে জানান রেলওয়ের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, যাত্রীদের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তরুণদের নিবৃত্ত করেন। পরে আর কক্সবাজার না গিয়ে সোজা চট্টগ্রাম চলে আসে। এরপর বিনা টিকিটে ভ্রমণ করার কারণে ওই তরুণদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করে চট্টগ্রাম স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।