নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জেলা ছাত্রদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবু মাসুম মোহাম্মদের গ্রামের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাত নয়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আবু মাসুমের অভিযোগ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজির আহমেদ ওরফে রিয়াজের নেতৃত্বে অন্তত ৫০ জনের একটি দল হামলায় অংশ নিয়েছে। তবে ছাত্রলীগ নেতা তানজির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রথম আলোর হাতে আসা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তানজির আহমেদের নেতৃত্বে একদল যুবক আবু মাসুমের বাড়ির ফটকে রামদা ও রড দিয়ে ব্যাপক আঘাত করছেন। একপর্যায়ে ফটক ভেঙে ওই যুবকেরা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন।
ওই বাড়ির কয়েকজন বাসিন্দা ও প্রতিবেশী জানান, আবু মাসুম মূলত বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে তাঁর বাড়িতে হামলা হয়েছে। হামলার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। হামলাকারীরা বাড়িতে ঢুকে শুরুতেই তাঁকে খোঁজাখুঁজি করেন। মাসুমকে বাড়িতে না পেয়ে ঘরের ফ্রিজ, টিভি থেকে শুরু করে শৌচাগারের কমোড পর্যন্ত ভাঙচুর করেছেন। এ সময় আলমারি ভেঙে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছেন হামলাকারীরা।
আবু মাসুম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত দুই দিন অবরোধের সমর্থনে আমি রূপগঞ্জে বেশ কিছু কর্মসূচি পালন করেছি। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বে অর্ধশত নেতা–কর্মী আমার বাড়িতে হামলা চালান। বাড়ির গেট ভেঙে দোতলা বাড়ির পুরো অংশে তাণ্ডব চালিয়েছেন। আমার অন্তত ৩০ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষতি করেছেন। আমি গ্রেপ্তার এড়াতে বাড়িতে থাকি না। সেটা জেনেও শুধু আমার পরিবারকে ভয় দেখানো এবং আমাকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এই হামলা চালানো হয়েছে।’
এই বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজির আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি৷ পরে খুদে বার্তায় তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, ‘বিএনপির আবু মাসুম খুবই হিংস্র একজন ছাত্রদল নেতা। আমি তাঁর বাড়িতে কোনো হামলা করিনি। দলীয় কোন্দলের কারণে তাঁর দলের লোকজনই হয়তো হামলা চালিয়েছেন।’
লোকমুখে বাড়িঘরে হামলার খবর শুনে আবু মাসুমের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) আবির হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, থানার পাশে একটি বাড়িতে ভাঙচুরের খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার একটি টিম সেখানে গিয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। কারা এই হামলা চালিয়েছে, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।