12:28 am, Sunday, 22 December 2024

টাঙ্গাইলে আধিপত্য বিস্তার ও দখলদারিত্ব নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

  • SK Farid
  • Update Time : 12:45:28 pm, Wednesday, 4 September 2024
  • 75

ছবি:মির্জাপুর(টাঙ্গাইল)

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোড়াই শিল্পাঞ্চলে কারখানা দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে গোড়াই শিল্পাঞ্চলের হাঁটুভাঙ্গা বাস স্টেশনে ওভার ব্রিজের নিচে এ ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী জানায়, গত ৫ আগস্ট কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর গোড়াই শিল্পাঞ্চলে বিএনপির সাবেক নেতা ফিরোজ হায়দার খান গ্রুপ ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহ আলম গ্রুপের মধ্যে শিল্পাঞ্চলের কারখানা দখলসহ চাঁদাবাজির ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি কারখানা দখলের চেষ্টা করে এই দুই গ্রুপ। এ নিয়ে কারখানার মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
ফিরোজ হায়দার খানের পক্ষে আব্দুর রাজ্জাক, সেতু হায়দার খান আলীম ও হাসমতসহ ২০-৩০ জনের গ্রুপ বিভিন্ন কারখানা দখলের চেষ্টা করে বলে খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহআলমসহ তার গ্রুপের লোকজন অভিযোগ করেন।
অপরদিকে খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহ আলম, আরিফ, জাহাঙ্গীর সুজন, শাহিন, সেলিম, আলমগীর, পাপ্পু ও জয়ের পাড়ার বাবুলসহ ৪০-৫০ জন নেতাকর্মী কারখানা দখলের চেষ্টা করছে বলে ফিরাজ হায়দার খান ও তার গ্রুপের লোকজন অভিযোগ করেন।
এ নিয়ে গত ২০-২৫ দিন ধরে গোড়াই শিল্পাঞ্চল উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। পরে মঙ্গলবার রাতে হাঁটুভাঙ্গা বাস স্টেশন এলাকায় শ্রমিক দলের অফিস দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ সময় হামলায় ফিরোজ হায়দার গ্রুপের শফিকুল ইসলাম শফিক ও আবুল কালাম গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে একজনকে রাতেই ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয় অফিস ও অগ্নিসংযোগ করে মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। উভয় গ্রুপের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফিরোজ হায়দার খান ও খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহআলম একে অপরকে দায়ী করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। দুই পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে রাতে জানিয়েছেন।
মির্জাপুর থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত মামলা করেনি।

Write Your Comment

About Author Information

SK Farid

কনক্রিট হল ব্লক- বাড়ির শক্ত ভিতের জন্য সেরা পছন্দ

টাঙ্গাইলে আধিপত্য বিস্তার ও দখলদারিত্ব নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

Update Time : 12:45:28 pm, Wednesday, 4 September 2024

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোড়াই শিল্পাঞ্চলে কারখানা দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে গোড়াই শিল্পাঞ্চলের হাঁটুভাঙ্গা বাস স্টেশনে ওভার ব্রিজের নিচে এ ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী জানায়, গত ৫ আগস্ট কোটা সংস্কার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর গোড়াই শিল্পাঞ্চলে বিএনপির সাবেক নেতা ফিরোজ হায়দার খান গ্রুপ ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহ আলম গ্রুপের মধ্যে শিল্পাঞ্চলের কারখানা দখলসহ চাঁদাবাজির ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি কারখানা দখলের চেষ্টা করে এই দুই গ্রুপ। এ নিয়ে কারখানার মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
ফিরোজ হায়দার খানের পক্ষে আব্দুর রাজ্জাক, সেতু হায়দার খান আলীম ও হাসমতসহ ২০-৩০ জনের গ্রুপ বিভিন্ন কারখানা দখলের চেষ্টা করে বলে খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহআলমসহ তার গ্রুপের লোকজন অভিযোগ করেন।
অপরদিকে খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহ আলম, আরিফ, জাহাঙ্গীর সুজন, শাহিন, সেলিম, আলমগীর, পাপ্পু ও জয়ের পাড়ার বাবুলসহ ৪০-৫০ জন নেতাকর্মী কারখানা দখলের চেষ্টা করছে বলে ফিরাজ হায়দার খান ও তার গ্রুপের লোকজন অভিযোগ করেন।
এ নিয়ে গত ২০-২৫ দিন ধরে গোড়াই শিল্পাঞ্চল উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। পরে মঙ্গলবার রাতে হাঁটুভাঙ্গা বাস স্টেশন এলাকায় শ্রমিক দলের অফিস দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ সময় হামলায় ফিরোজ হায়দার গ্রুপের শফিকুল ইসলাম শফিক ও আবুল কালাম গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে একজনকে রাতেই ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয় অফিস ও অগ্নিসংযোগ করে মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। উভয় গ্রুপের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফিরোজ হায়দার খান ও খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহআলম একে অপরকে দায়ী করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। দুই পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে রাতে জানিয়েছেন।
মির্জাপুর থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত মামলা করেনি।