পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়
২০০০ সালের ২৬ জুন ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের টেস্ট অভিষেকের পর এটায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বর ধরণের টেস্ট সিরিজ জয়। এই পর্যন্ত বাংলাদেশ মোট ২১ টি টেস্ট ম্যাচ জয় লাভ করে। অনেক গুলো টেস্ট সিরিজও জয় লাভ করে তবে এই জয়ের গুরুত্ব আর তাৎপর্য সত্যি অবিস্মরণীয়।
বাংলাদেশ পাকিস্তান সফরে প্রথম টেস্ট জয়ের পর ২য় টেস্ট জয় লাভ করবে এমন স্বপ্ন দেখেছিলো কোটি কোটি বাংলাদেশী। ক্রিকেটাররা এ যাত্রায় একটুও হতাশ করেনি। পর পর দুইটা ম্যাচ শক্তিশালী পাকিস্তানের সাথে তাদের মাটিতে জয় লাভ করে এদেশের মানুষের মন জয় করে নিয়েছে তারা। অভিনন্দন বাংলাদেশে ক্রিকেট টিমকে।
পাঁচদিনের টেস্ট ম্যাচটি প্রথম দিন বৃষ্টির কারণে এক বলও মাঠে না গড়িয়ে পরিত্যক্ত হয়। ম্যাচটি মূলত চারদিনের হয়ে যায়। দ্বিতীয় দিন খেলতে নেমে পাকিস্তান মোট ২৭৪ রানে অল আউট হয়ে যায়। মেহেদী মিরাজ নেন ৫ উইকেট। জবাবে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংস খেলতে নেমে মাত্র ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে। সেখান থেকে ৭ম উইকেট জুটিতে বীরত্বসূচক ১৬৫ রানের পার্টনারশীপের একটি ইনিংস উপহার দেয় মেহেদী মিরাজ ও লিটন দাস। মেহেদী মিরাজ ৭৮ রানে আউট হলেও লিটন মহাকাব্যিক একটি সেঞ্চুরি (১৩৮) তুলে নেন।
২৬২ রানে বাংলাদেশ অল আউট হয়ে গেলে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ১২ রানের লিড পায়। পাকিস্তান ২য় ইনিংস খেলে মাত্র ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায়। হাসান মাহমুদ নেন ৫ উইকেট এবং নাহিদ রানা নেন ৪ উইকেট। বাংলাদেশ পায় ১৮৪ রানের লিড। বাংলাদেশ ২য় ইনিংসে খেলতে নেমে দেখে শুনে শুরু করে। মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা। জাকির ৪০ ও অধিনায়ক শান্ত করেন ৩৮ রান। অভিজ্ঞ মুশফিক ও সাকিব আল হাসান কোন ভুল না করে বাংলাদেশকে এনে দেয় বাংলা ওয়াশের সুখ।
এর আগে ২০০৯ সালে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে প্রথম বিদেশের মাটিতে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজ এর দুইটাতেই জিতে ওয়েস্ট-ইন্ডিজকে হোয়াইট ওয়াশ করেছিল। গত বছর নিউজিল্যান্ডের সাথে তাদের মাটিতে একটি টেস্ট ম্যাচ জিতলেও সে সিরিজ ড্র হয়েছিল। এবার বাংলাদেশ ব্যাটিং বোলিং ফিল্ডিং সব বিভাগে অসাধারণ নৈপুণ্যতা দেখিয়ে পাকিস্তানকে ধবল ধোলায় করলো।
বাংলাদেশের এই জয়ে সারা বিশ্ব থেকে অভিনন্দনে সিক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম।
বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট/জেডআর