গণতান্ত্রিক ও বাংলাদেশের সাংবিধানিক নিয়ম নীতি মেনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে বহুদিন ধরেই ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি করে আসছে। সুশৃঙ্খল দল হিসেবে ইতিমধ্যে দেশের রাজনীতিতে একটা বড় প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে আলোচিত এই দলটি। কিন্তু আওয়ামী শাসনামলে এই দলটির নিবন্ধন বাতিল হয় এমনকি দল হিসেবেও নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করা হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর নিযুক্ত আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানিয়েছেন, ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ হিসেবে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করতে আবেদন করেছেন আজ।
তিনি বলেন, আজই বিষয়টি চেম্বার আদালতে উপস্থাপন করা হবে। এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াত।
তিনি আরও জানান, আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজের আদেশ দেন।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় জামায়াত, ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে গত ২৮ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।