দেশের রাজনীতিতে নতুন বন্দোবস্ত নির্ধারণ করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির উদ্যোগে নাগরিক কমিটি গঠন করা হবে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি গঠনের বিষয়টি জানানো হয়।
সাবেক বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে ‘অনুপ্রবেশ চেষ্টার’ মামলা
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এখনও রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং শাসনকাঠামোর বিভিন্ন অংশে ফ্যাসিবাদের দোসররা নানা রূপে বিরাজ করছে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার কুফল এখনও জনগণ প্রত্যক্ষ করছেন। অন্যদিকে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পূর্বশর্ত হিসেবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন, জনস্বার্থের প্রতি সংবেদনশীল নীতি নির্ধারণ, তদুপরি গণহত্যাকারীদের যথাযথ বিচারের ক্ষেত্রেও অগ্রগতির অভাব রয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে আমরা নতুন রাজনৈতিক ভাষা ও জনগোষ্ঠীর সম্ভাবনা অর্জন করেছি। সে সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপান্তরের জন্যও আমাদের কাজ করে যেতে হবে। যাতে নবগঠিত এ রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হয়।
জনগণকে সংগঠিত করে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা এবং তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা, তদুপরি জনস্বার্থের পক্ষে নীতি নির্ধারণে সহযোগিতার লক্ষ্যে আমরা নাগরিক দায়িত্বের জায়গা থেকে গত ২৩ আগস্ট একটি সভায় বসেছিলাম। সভায় আগত অতিথিদের মতামতের ভিত্তিতে একটি নাগরিক কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই কমিটি গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার ও পুনর্গঠন নিশ্চিত করবে।
সভায় কয়েকটি কর্মপন্থা আলোচিত হয়:
১. গণঅভ্যুত্থানের শহিদ ও আহতদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাঁচিয়ে রাখা।
২. মহানগর, জেলা, উপজেলা পর্যন্ত কমিটির বিস্তৃতি সাধনের জন্য কাজ করা।
৩.দেশের সর্বস্তরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে সমন্বিত উপায়ে সংহত করা।
৪. গণঅভ্যুত্থানের অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণের জায়গায় পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনা তৈরির কাজ করা।
৫. গণপরিষদ গঠন করে নতুন সংবিধান তৈরির জন্য গণআলোচনার আয়োজন করা।
এ সভায় উপস্থিত ছিলেন- আসাদুজ্জামান (গবেষক), মামুন আব্দুল্লাহি (গবেষক), এরশাদুল বারী খন্দকার (আইনজীবী), সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ (গবেষক), মনিকা ইয়াসমিন (এক্টিভিস্ট), ফয়সাল মাহমুদ শান্ত (শিক্ষক ও এক্টিভিস্ট), সারোয়ার তুষার (গবেষক ও লেখক), আতাউল্লাহ (সংগঠক) , আলাউদ্দীন মোহাম্মদ (শিক্ষক, গবেষক ও সংগঠক), আসিফ ত্বাসীন (সাংবাদিক), জাইমা ইসলাম (সাংবাদিক), মুশফিক উস সালেহীন (এক্টিভিস্ট), সামান্তা শারমিন (ভাস্কর), শ্রবণা শফিক দীপ্তি (নৃবিজ্ঞানী এবং গবেষক), সানজিদা ইসলাম তুলি (সংগঠক-মায়ের ডাক), এ. এস. এম সুজা উদ্দিন (সাংবাদিক ও নীতি বিশ্লেষক), তুহিন খান (লেখক) নাহিদা সারোয়ার নিভা (সংগঠক), আব্দুল্লাহ আল আমিন (আইনজীবী), মু. নিজাম উদ্দিন (চিন্তক ও সংগঠক), সায়ক চাকমা (আইনজীবী ও এক্টিভিস্ট), নুসরাত জাহান কেয়া (চার্টাড একাউন্টেন্ট স্টুডেন্ট), সৈয়দ তানভির মুত্তাকি (বেসরকারী চাকুরিজীবী), সাইয়েদ আবদুল্লাহ (ইন্ডিপেনডেন্ট জার্নালিস্ট এন্ড একটিভিস্ট), মুহাম্মাদ মিরাজ মিয়া- রাজনীতি বিশেষজ্ঞ, মুতাসিম বিল্লাহ- (ইয়ুথ একটিভিস্ট এবং উন্নয়নকর্মী), আশরাফ মাহদি (শিক্ষক, একটিভিস্ট), আরীফুল ইসলাম আদীব (সাংবাদিক ও সংগঠক), মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী (রাজনীতিবিদ এবং সংগঠক), আখতার হোসেন (একটিভিস্ট), মাহফুজ আলম (চিন্তক ও গবেষক), জাবেদ রাসিন (লেখক ও রাজনীতিবিদ), তাসনীম জারা (চিকিৎসক), নিশাত ফারজানা (সংবাদকর্মী ও সমাজকর্মী), আকরাম হুসাইন (ব্যবসায়ী ও একটিভিস্ট)।