পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের পরও বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে টাইগাররা। স্লো ওভার রেটের কারণে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে প্রথম টেস্টে খেলার সময় আইসিসির নিয়ম ভেঙেছেন সাকিব আল হাসান। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দিকে বল ছুঁড়ে মারায় সাকিবকে তার ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
সোমবার (২৬ আগস্ট) আইসিসি তাদের এক বিবৃতিতে সাকিব আল হাসানকে কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গের দায়ে ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। মূলত পঞ্চম দিনে বোলিংয়ের সময় পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানের দিকে বল ছুঁড়ে মারেন সাকিব। যা দেখে বেশ অবাক হন ফিল্ড আম্পায়ার রিচার্ড ক্যাটেলবারো। পরবর্তীতে বিষয়টি ম্যাচ রেফারিকে জানানো হয়।
আইসিসির আচরণবিধি অনুযায়ী, বরাদ্দকৃত সময়ে প্রতি ওভার কম করার জন্য ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়। রাওয়ালপিন্ডিতে ১০ উইকেটে হারা ম্যাচে পাকিস্তান পিছিয়েছিল ৬ ওভার। অন্যদিকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি ওভারের জন্য ১ পয়েন্ট করে কাটা যায়।
এমিরেটস আইসিসি এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে দুই দলের শাস্তির সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। পাকিস্তান সময়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ছয় ওভার কম ও বাংলাদেশ তিন ওভার কম করেছিল। পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন শান মাসুদ এবং বাংলাদেশের নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাধ মেনে নিয়ে নিষেধাজ্ঞাগুলি গ্রহণ করেছেন, তাই আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।
এদিকে বাড়তি জরিমানার কবলে পড়েছেন বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তাকে ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আইসিসির আচরণবিধির লেভেল ওয়ানের অপরাধ করেছেন। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ চলাকালীন কোনো ক্রিকেটারের দিকে বল ছুড়ে মারা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। ঘটনাটি পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩তম ওভারের। তখন বোলিংয়ে ছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
ব্যাটিং করছিলেন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। একটি বলের আগে তৈরি হতে বেশ সময় নিচ্ছিলেন রিজওয়ান। সাকিব বল করতে চাইলে রিজওয়ান সরে যান। তবে সেই সময় ব্যাটারের মাথার ওপর দিয়ে উইকেটকিপারের দিকে বল ছুঁড়ে মারেন সাকিব।
এ কারণেই জরিমানার কবলে পড়তে হয়েছে তাকে। সেই সঙ্গে দেয়া হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও। ম্যাচ শেষে অন ফিল্ড আম্পায়ার রিচার্ড ক্যাটেলবর্গ। আদ্রিয়ান হোল্ডস্টোক, থার্ড আম্পায়ার মাইকেল গফ ও চতুর্থ আম্পায়ার রশিদ রিয়াজ সাকিবের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন।
সাকিব অবশ্য অপরাধ শিকার করে নেয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি। লেভেল ওয়ানের অপরাধের জন্য নুন্যতম ১০ শতাংশ ও সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ জরিমানার বিধান রয়েছেন। সেই সঙ্গে একটি বা দুটি ডিমেরিট পয়েন্টের বিধান রয়েছে। সাকিবের শাস্তিমূলক রেকর্ডে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে, ২৪ মাসের মধ্যে এটিই তার প্রথম অপরাধ।