12:52 am, Monday, 23 December 2024

বন্যায় প্রাণহানি ২৩, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৭ লাখ মানুষ

ছবিঃ সংগৃহিত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

চলমান বন্যায় দেশের বিভিন্ন জেলায় এ পর্যন্ত ২৩ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া দুইজন নিখোঁজ রয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। বন্যায় ৫৭ লাখ এক হাজার ২০৪ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানানো হয়।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে কুমিল্লায় ছয়জন, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে ১০ জন, কক্সবাজারে তিনজন, ফেনী, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষীপুরে একজন করে রয়েছে। এছাড়া মৌলভীবাজার জেলায় দু’জন নিখোঁজ রয়েছেন।

পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয়ের জন্য ৩ হাজার ৮৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫২৩ জন মানুষ, ২৮ হাজার ৯০৭টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ৬৪৫টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তি জানায় মন্ত্রণালয়।

এদিকে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বৃষ্টিপাতের তীব্রতা না বাড়ায় ফেনী ও কুমিল্লা জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত আছে। সোমবার সকালে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়া।

তিনি বলেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদীগুলোর পানির কমা অব্যাহত রয়েছে। এতে দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে বলে জানান তিনি।

পার্থ প্রতীম বড়ুয়া বলেন, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চল ও এর আশপাশের এলাকায় মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে কিছু কিছু এলাকায় প্রধান নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

বন্যায় প্রাণহানি ২৩, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৭ লাখ মানুষ

Update Time : 02:48:44 pm, Monday, 26 August 2024

চলমান বন্যায় দেশের বিভিন্ন জেলায় এ পর্যন্ত ২৩ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া দুইজন নিখোঁজ রয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। বন্যায় ৫৭ লাখ এক হাজার ২০৪ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানানো হয়।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে কুমিল্লায় ছয়জন, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে ১০ জন, কক্সবাজারে তিনজন, ফেনী, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষীপুরে একজন করে রয়েছে। এছাড়া মৌলভীবাজার জেলায় দু’জন নিখোঁজ রয়েছেন।

পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয়ের জন্য ৩ হাজার ৮৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫২৩ জন মানুষ, ২৮ হাজার ৯০৭টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ৬৪৫টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তি জানায় মন্ত্রণালয়।

এদিকে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বৃষ্টিপাতের তীব্রতা না বাড়ায় ফেনী ও কুমিল্লা জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত আছে। সোমবার সকালে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়া।

তিনি বলেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদীগুলোর পানির কমা অব্যাহত রয়েছে। এতে দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে বলে জানান তিনি।

পার্থ প্রতীম বড়ুয়া বলেন, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চল ও এর আশপাশের এলাকায় মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে কিছু কিছু এলাকায় প্রধান নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।