জামায়াতে ইসলামীর নিষিদ্ধের আদেশ আগামীকাল মঙ্গলবার কাল প্রত্যাহার হতে পারে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মো. মনির।
সোমবার (২৬ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
শিশির মনির বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সেনা দপ্তরে এবং রাষ্ট্রপতির ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। পরবর্তীতে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করার সময় জামায়াতে ইসলামী তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অর্থাৎ, বর্তমান সরকার এবং আন্তর্জাতিক কমিউনিটির সঙ্গে জামায়াত অন্যান্য স্বাভাবিক দলের মতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সরকারি আদেশ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির কৌসুলি অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) যেহেতু সরকারি ছুটি, সেজন্য কাল মঙ্গলবার এই নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে বলে আশা রাখছি।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
শিশির মনির বলেন, কেন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলো সেটা আমরা জানি না। মনে করছি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ ফ্যাসিবাদী এই সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে। জামায়াতে ইসলামীও সহযোগী শক্তি হিসাবে ভূমিকা রেখেছে। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ক্ষেত্রে দলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহারের পরই দলটি নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল বিভাগে মামলা পুনরুজ্জীবনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।