1:17 am, Tuesday, 17 September 2024

ইসরাইলে প্রচণ্ড হামলা হিজবুল্লাহর

ইসরাইলে প্রচণ্ড হামলা হিজবুল্লাহর - ছবি : সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech
ইসরাইলে প্রচণ্ড হামলা হিজবুল্লাহর

ইসরাইলে প্রচণ্ড হামলা চালিয়েছে লেবাননের হিজবুল্লাহ। ইসরাইলি সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদসহ ১১টি সদরদফতর ও ঘাঁটিতে হামলা চালানোর দাবি করেছে তারা। তবে ইসরাইল জানিয়েছে, তারা এসব হামলার জন্য তৈরী ছিল। বেশিভাগ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র তারা প্রতিহত করেছে।

হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ দাবি করেছেন, তার গ্রুপের হামলায় ইসরাইলি বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার সদরদফতরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে তিনি কোনো প্রমাণ উল্লেখ করেননি।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। লেবানন থেকে উত্তর ইসরাইলে শতাধিক রকেট ছোড়া হয়েছে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়েছে। হিজবুল্লাহর হামলার পাল্টা হামলার ছক কষছে ইসরাইলি বাহিনীও। ইতিমধ্যে সে দেশে ৪৮ ঘণ্টার জন্য জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে।

হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বেশ কয়েক দিন ধরেই হামলার ছক কষছিল ইসরাইল। রবিবার ভোর থেকে সেই হামলা শুরু করেছে তারা। ইসরাইল সামরিক বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, রোববার ভোর থেকে লেবাননকে লক্ষ্য করে পূর্বনির্ধারিত হামলা চালানো হচ্ছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো চক্কর কাটতে শুরু করেছে লেবাননের আকাশে। হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে চলছে পর পর গোলাবর্ষণ।

উল্লেখ্য, গত ১২ অগস্ট লেবানন থেকে প্রায় ৩০টি রকেট বর্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তবে বড়সড় ক্ষতি হয়নি। ইসরাইলের দাবি, বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই পরিত্যক্ত জমিতে গিয়ে পড়েছিল। তবে তার পর থেকেই যে পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধের দামামা বেজেছে, তা এক প্রকার বোঝাই গিয়েছিল। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই আমেরিকার প্রতিরক্ষাসচিব লয়েড অস্টিনের সাথে কথা বলেছেন গ্যালান্ট।

পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার অন্যতম বিশ্বস্ত সঙ্গী ইসরাইল। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ওয়াশিংটনও। পেন্টাগন থেকে আগেই পশ্চিম এশিয়ায় আরো বাহিনী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এক দিকে যখন ইসরাইল দফায় দফায় যোগাযোগ করছে আমেরিকার সাথে, অন্য দিকে তখন ইরানও যোগাযোগ রাখছে চীনের সাথে। ফলে ইসরাইল-ইরান সরাসরি যুদ্ধে শামিল হলে পরোক্ষভাবে আমেরিকা, চীনের মতো দেশগুলোও জড়িয়ে পড়বে পশ্চিম এশিয়ার সংঘাতে।

সূত্র : আল জাজিরা, জেরুসালেম পোস্ট এবং অন্যান্য

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

Popular Post

ভারতকে বাংলাদেশের ব্যাপারে সাবধান করলেন কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাস্কার

ইসরাইলে প্রচণ্ড হামলা হিজবুল্লাহর

Update Time : 10:10:26 am, Monday, 26 August 2024
ইসরাইলে প্রচণ্ড হামলা হিজবুল্লাহর

ইসরাইলে প্রচণ্ড হামলা চালিয়েছে লেবাননের হিজবুল্লাহ। ইসরাইলি সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদসহ ১১টি সদরদফতর ও ঘাঁটিতে হামলা চালানোর দাবি করেছে তারা। তবে ইসরাইল জানিয়েছে, তারা এসব হামলার জন্য তৈরী ছিল। বেশিভাগ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র তারা প্রতিহত করেছে।

হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ দাবি করেছেন, তার গ্রুপের হামলায় ইসরাইলি বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার সদরদফতরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে তিনি কোনো প্রমাণ উল্লেখ করেননি।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। লেবানন থেকে উত্তর ইসরাইলে শতাধিক রকেট ছোড়া হয়েছে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়েছে। হিজবুল্লাহর হামলার পাল্টা হামলার ছক কষছে ইসরাইলি বাহিনীও। ইতিমধ্যে সে দেশে ৪৮ ঘণ্টার জন্য জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে।

হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বেশ কয়েক দিন ধরেই হামলার ছক কষছিল ইসরাইল। রবিবার ভোর থেকে সেই হামলা শুরু করেছে তারা। ইসরাইল সামরিক বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, রোববার ভোর থেকে লেবাননকে লক্ষ্য করে পূর্বনির্ধারিত হামলা চালানো হচ্ছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো চক্কর কাটতে শুরু করেছে লেবাননের আকাশে। হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে চলছে পর পর গোলাবর্ষণ।

উল্লেখ্য, গত ১২ অগস্ট লেবানন থেকে প্রায় ৩০টি রকেট বর্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তবে বড়সড় ক্ষতি হয়নি। ইসরাইলের দাবি, বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই পরিত্যক্ত জমিতে গিয়ে পড়েছিল। তবে তার পর থেকেই যে পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধের দামামা বেজেছে, তা এক প্রকার বোঝাই গিয়েছিল। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই আমেরিকার প্রতিরক্ষাসচিব লয়েড অস্টিনের সাথে কথা বলেছেন গ্যালান্ট।

পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার অন্যতম বিশ্বস্ত সঙ্গী ইসরাইল। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ওয়াশিংটনও। পেন্টাগন থেকে আগেই পশ্চিম এশিয়ায় আরো বাহিনী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এক দিকে যখন ইসরাইল দফায় দফায় যোগাযোগ করছে আমেরিকার সাথে, অন্য দিকে তখন ইরানও যোগাযোগ রাখছে চীনের সাথে। ফলে ইসরাইল-ইরান সরাসরি যুদ্ধে শামিল হলে পরোক্ষভাবে আমেরিকা, চীনের মতো দেশগুলোও জড়িয়ে পড়বে পশ্চিম এশিয়ার সংঘাতে।

সূত্র : আল জাজিরা, জেরুসালেম পোস্ট এবং অন্যান্য