রবিবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন আনসার সদস্যরা। পরে তাদের কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
পরে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে সাধারণ আনসারদের যে গ্রেস প্রথা বা ছয় মাসের বিরতি রয়েছে, সেটা থাকবে না। আমরা তিন উপদেষ্টা এবং অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। গ্রেস প্রথা হচ্ছে তিন বছর চাকরির পর ছয় মাস বিরতিতে রাখা হয়। ছয় মাস পর আবার তাদের বাহিনীতে অঙ্গীভূত করা হয়। এই ছয় মাস তারা জীবন-জীবিকা নিয়ে একটা দুর্দশার মধ্যে থাকেন। ওনাদের মূল সমস্যা সেটা। এজন্য সবাই মিলে এ বিষয়ে একমত হই যে এই প্রথা যেন বাতিল করা হয়। নিয়োগবিধি থেকে সেটা কীভাবে বাতিল করা হবে সেটা কমিটির সুপারিশের পর আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
এ সময় তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আনসারদের অন্যান্য যে দাবি আছে সেজন্য একটা সুপারিশ কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি পর্যালোচনা করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। এই কমিটিতে সাধারণ আনসারের চার জন প্রতিনিধি থাকবেন। সুপারিশ প্রণয়নে তারা সহযোগিতা করবেন। তারপর আমরা আন্তমন্ত্রণালয় সভায় বসে সিদ্ধান্ত নেবো। আনসার সদস্যরা যেসব বৈষম্যের শিকার, তারা যেসব সমস্যার মুখে পড়েন, সেগুলোর যৌক্তিক সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
সাধারণ আনসারদের পক্ষ থেকে মো. নাসিম মিয়া বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে তারা গ্রেস প্রথা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া জাতীয়করণের ক্ষেত্রে তাদের যে দাবি সেটা কমিটির মাধ্যমে সুপারিশ করা হবে। আপাতত আন্দোলন স্থগিত থাকবে।