8:39 am, Sunday, 8 September 2024

মিয়ানমার সীমান্তে শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা বাহিনী

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech
মিয়ানমার সীমান্তে শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা বাহিনী

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে শান প্রদেশে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ চিনশয়েহাউ শহরের নিয়ন্ত্রণ হারানোর কথা জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এ অঞ্চলে কয়েক দিন ধরে সশস্ত্র তিনটি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাত চলছিল তাদের। গতকাল বুধবার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জাও মিন তুন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে জাও মিন তুন বলেন, মিয়ানমারের সরকার, প্রশাসনিক সংস্থা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো চীনের ইউনান প্রদেশের সীমান্তে চিনশয়েহাউ শহরে আর অবস্থান করছে না। সশস্ত্র তিনটি গোষ্ঠী বিদ্যুৎকেন্দ্র, সেতু ও যোগাযোগের পথগুলোতে হামলা চালিয়েছে। শান প্রদেশের ১০টি স্থানে ছয় দিন ধরে সংঘাত চলছে। তবে হতাহতের বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।

এদিকে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), আরাকান আর্মি (এএ) ও মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে মিয়ানমারকে যুক্ত করা বিভিন্ন প্রধান সড়ক ও সামরিক ফাঁড়ি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে দখল করেছে তারা।

চলমান সংঘাতের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছে চীন। এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন বলেছেন, সব পক্ষকে শিগগিরই অস্ত্রবিরতিতে যেতে এবং লড়াই বন্ধের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে বেইজিং।

চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে বাণিজ্যের বড় একটি অংশ হয়ে থাকে চিনশয়েহাউ শহরের সীমান্ত দিয়ে। গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সীমান্ত দিয়ে ১৮০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়েছে বলে মিয়ানমারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম।

Tag :

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট

Bangladesh Diplomat | বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট | A Popular News Portal Of Bangladesh.
Popular Post

মিয়ানমার সীমান্তে শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা বাহিনী

Update Time : 11:35:29 pm, Thursday, 2 November 2023
মিয়ানমার সীমান্তে শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা বাহিনী

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে শান প্রদেশে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ চিনশয়েহাউ শহরের নিয়ন্ত্রণ হারানোর কথা জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এ অঞ্চলে কয়েক দিন ধরে সশস্ত্র তিনটি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাত চলছিল তাদের। গতকাল বুধবার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জাও মিন তুন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে জাও মিন তুন বলেন, মিয়ানমারের সরকার, প্রশাসনিক সংস্থা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো চীনের ইউনান প্রদেশের সীমান্তে চিনশয়েহাউ শহরে আর অবস্থান করছে না। সশস্ত্র তিনটি গোষ্ঠী বিদ্যুৎকেন্দ্র, সেতু ও যোগাযোগের পথগুলোতে হামলা চালিয়েছে। শান প্রদেশের ১০টি স্থানে ছয় দিন ধরে সংঘাত চলছে। তবে হতাহতের বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।

এদিকে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), আরাকান আর্মি (এএ) ও মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে মিয়ানমারকে যুক্ত করা বিভিন্ন প্রধান সড়ক ও সামরিক ফাঁড়ি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে দখল করেছে তারা।

চলমান সংঘাতের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছে চীন। এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন বলেছেন, সব পক্ষকে শিগগিরই অস্ত্রবিরতিতে যেতে এবং লড়াই বন্ধের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে বেইজিং।

চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে বাণিজ্যের বড় একটি অংশ হয়ে থাকে চিনশয়েহাউ শহরের সীমান্ত দিয়ে। গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সীমান্ত দিয়ে ১৮০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়েছে বলে মিয়ানমারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম।