2:17 am, Tuesday, 17 September 2024

ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়েই চলেছে

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech
ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়েই চলেছে

প্রতি বছরই ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে তীব্র কিন্তু ঐ অর্থে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হয় নিতান্তই কম। এতে করে ডেঙ্গুজনীত কারণে মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে।

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারও ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে চলতি মাসে এডিস মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০ জনের মৃত্যু হলো।

আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত) ডেঙ্গু নিয়ে ২৯৬ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৮৬ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৯৫ রোগী ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে। অপর দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ৭২ জন, উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ৪২, খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে ২৯, বরিশালের হাসপাতালে ২৮ ও ময়মনসিংহের হাসপাতালে ৭ জন এবং রাজশাহী ও রংপুরের হাসপাতালে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।

গত জানুয়ারি থেকে আজ সকাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ হাজার ৩৬১ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ ও ৩৮ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।

 

এদিকে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৩ শতাংশ নারী ও ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ। এ সময় ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে।

২০০০ সালে দেশে প্রথম বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এর পর থেকে প্রতিবছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল। ব্যতিক্রম ছিল ২০২০ সাল। ওই বছর করোনা মহামারি দেখা দেয়। দেশে ডেঙ্গু রোগী ছিল কম, সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যু ছিল না। করোনা মহামারি শেষ না হতেই ২০২১ সাল থেকে আবার ডেঙ্গু বাড়তে থাকে।

করোনা মহামারি শুরুর পরের বছর ২০২১ সালে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৪২৮। এর মধ্যে মারা যান ১০৫ জন। মৃতের হার ছিল শূন্য দশমিক ৩৭। পরের বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। তাঁদের মধ্যে মারা যান ২৮১ জন। এ বছর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে যায়। একই সঙ্গে বাড়ে মৃত্যুহার। ২০২২ সালে মৃত্যুহার ছিল শূন্য দশমিক ৪৫।

২০২৩ সালে ডেঙ্গুর সব রেকর্ড ভেঙে যায়। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ২৭ জন। তাঁদের মধ্যে মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন। মৃত্যুহার বেড়ে হয় শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

Popular Post

ভারতকে বাংলাদেশের ব্যাপারে সাবধান করলেন কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাস্কার

ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়েই চলেছে

Update Time : 07:47:47 pm, Wednesday, 21 August 2024
ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়েই চলেছে

প্রতি বছরই ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে তীব্র কিন্তু ঐ অর্থে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হয় নিতান্তই কম। এতে করে ডেঙ্গুজনীত কারণে মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে।

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারও ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে চলতি মাসে এডিস মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০ জনের মৃত্যু হলো।

আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত) ডেঙ্গু নিয়ে ২৯৬ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৮৬ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৯৫ রোগী ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে। অপর দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ৭২ জন, উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ৪২, খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে ২৯, বরিশালের হাসপাতালে ২৮ ও ময়মনসিংহের হাসপাতালে ৭ জন এবং রাজশাহী ও রংপুরের হাসপাতালে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।

গত জানুয়ারি থেকে আজ সকাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ হাজার ৩৬১ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ ও ৩৮ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।

 

এদিকে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৩ শতাংশ নারী ও ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ। এ সময় ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে।

২০০০ সালে দেশে প্রথম বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এর পর থেকে প্রতিবছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল। ব্যতিক্রম ছিল ২০২০ সাল। ওই বছর করোনা মহামারি দেখা দেয়। দেশে ডেঙ্গু রোগী ছিল কম, সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যু ছিল না। করোনা মহামারি শেষ না হতেই ২০২১ সাল থেকে আবার ডেঙ্গু বাড়তে থাকে।

করোনা মহামারি শুরুর পরের বছর ২০২১ সালে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৪২৮। এর মধ্যে মারা যান ১০৫ জন। মৃতের হার ছিল শূন্য দশমিক ৩৭। পরের বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। তাঁদের মধ্যে মারা যান ২৮১ জন। এ বছর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে যায়। একই সঙ্গে বাড়ে মৃত্যুহার। ২০২২ সালে মৃত্যুহার ছিল শূন্য দশমিক ৪৫।

২০২৩ সালে ডেঙ্গুর সব রেকর্ড ভেঙে যায়। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ২৭ জন। তাঁদের মধ্যে মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন। মৃত্যুহার বেড়ে হয় শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ।