2:03 pm, Sunday, 22 December 2024

রিমান্ডে কান্নাকাটি,ভেঙে পড়েছেন পলক!

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পাঁচজন ভিআইপি আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান,
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এবং সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদপলককে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর নিউমার্কেট ও পল্টন থানার পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এদিকে রিমান্ডে নেওয়ার পর থেকে ভিআইপি আসামিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছেন সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্র জানায়, মামলাগুলো এখনও থানা পুলিশের কাছেই তদন্তাধীন। তবে ভিআইপি আসামি হিসেবে তাদের মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। সেখানেই তদন্ত কর্মকর্তাসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
এদিকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ভিআইপি আসামিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। গ্রেফতারের পর থেকেই বেশিরভাগ সময় কান্নাকাটি করছেন তিনি। এত দ্রুত সরকারের পতন হতে পারে, তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি।
যদিও একদিন আগে স্ত্রী-সন্তানদের বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার কথাও তিনি স্বীকার করেছেন। পলকের ভাষ্য, চাইলে তিনিও দেশ ছেড়ে পালাতে পারতেন। তবে শেখ হাসিনার সঙ্গে ‘বেঈমানি করা হবে’ বলে তিনি যাননি।
জিজ্ঞাসাবাদে ইন্টারনেট শাটডাউনের বিষয়েও পলক তার দায় অস্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য, প্রতিমন্ত্রী হলেও ইন্টারনেট বন্ধ করার ক্ষেত্রে তার একক কোনও সিদ্ধান্ত ছিল না।
এসময় পলক জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ও এনটিএমসির মহাপরিচালক সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের নির্দেশনা মেনে তিনি ইন্টারনেট শাটডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এছাড়া ইন্টারনেট শাটডাউনের ক্ষেত্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সায় ছিল।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

কনক্রিট হল ব্লক- বাড়ির শক্ত ভিতের জন্য সেরা পছন্দ

রিমান্ডে কান্নাকাটি,ভেঙে পড়েছেন পলক!

Update Time : 09:54:49 am, Monday, 19 August 2024

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পাঁচজন ভিআইপি আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান,
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এবং সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদপলককে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর নিউমার্কেট ও পল্টন থানার পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এদিকে রিমান্ডে নেওয়ার পর থেকে ভিআইপি আসামিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছেন সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্র জানায়, মামলাগুলো এখনও থানা পুলিশের কাছেই তদন্তাধীন। তবে ভিআইপি আসামি হিসেবে তাদের মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। সেখানেই তদন্ত কর্মকর্তাসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
এদিকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ভিআইপি আসামিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। গ্রেফতারের পর থেকেই বেশিরভাগ সময় কান্নাকাটি করছেন তিনি। এত দ্রুত সরকারের পতন হতে পারে, তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি।
যদিও একদিন আগে স্ত্রী-সন্তানদের বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার কথাও তিনি স্বীকার করেছেন। পলকের ভাষ্য, চাইলে তিনিও দেশ ছেড়ে পালাতে পারতেন। তবে শেখ হাসিনার সঙ্গে ‘বেঈমানি করা হবে’ বলে তিনি যাননি।
জিজ্ঞাসাবাদে ইন্টারনেট শাটডাউনের বিষয়েও পলক তার দায় অস্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য, প্রতিমন্ত্রী হলেও ইন্টারনেট বন্ধ করার ক্ষেত্রে তার একক কোনও সিদ্ধান্ত ছিল না।
এসময় পলক জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ও এনটিএমসির মহাপরিচালক সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের নির্দেশনা মেনে তিনি ইন্টারনেট শাটডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এছাড়া ইন্টারনেট শাটডাউনের ক্ষেত্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সায় ছিল।