ঢাকার ধামরাইয়ে তরুণীকে বাড়িতে ঢুকতে দেখেই বাড়ি ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেলেন পরিবারের সবাই। অবশেষে জনমানবহীন বাড়িতেই বিয়ের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন বিজয়া বিশ্বাস নামে সংখ্যালঘু এক কলেজ ছাত্রী। এ খবরে এলাকার শত শত উৎসব জনতা ওই বাড়িতে ভিড় করেছেন।
সেকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক এপি মেম্বার মদ নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে ছাত্র জনতার একটি টিম গঠন করা হয়েছে, বিয়ের দাবিতে অনশনরত ছাত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য। বিষয়টি ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবস্থা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা।
রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভাইশাকান্দা ইউনিয়নের বেরোস গ্রামের সরকার রামানন্দ ওরফে রামু মিস্ত্রির বাড়িতে।
এ ব্যাপারে প্রতিবেশী ও এলাকাবাসী লোকজন জানান,ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের চৌঠাইল গ্রামের নারায়ণ বিশ্বাসের মেয়ে ও ঢাকা ইডেন কলেজের মিডিয়েটের বর্ষের ছাত্রী বিজয়া বিশ্বাস রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই বাড়িতে আসে। তাকে দেখেই বাড়ির লোকজন বাড়ির তিনটি কক্ষে তালা লাগিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান পরিবারের সভায়। এর পর আমরা এলাকাবাসী সাবেক ইউপি মেম্বার মো. নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে মেয়ের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছি। এইসঙ্গে বিষয়টি ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. আব্দুল্লা আল মামুনকে অবহিত করেছি।
বিয়ের দাবিতে অনশনরত কলেজছাত্রী জানান, বিকাশ সরকারের সঙ্গে বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাব।
কলেজছাত্রী আরও জানান, দীর্ঘ তিন বছর ধরে তার সঙ্গে আমার গভীর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। বিয়ের আশা সে আমাকে বিভিন্ন স্থানে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে দৈহিক মেলামেশা করে আসছে। এখন সে আমাকে বিয়ে না করে অন্যত্র বিয়ে করার পরিকল্পনা করায় আমি নিরুপায় হয়ে এ বাড়িতে এসেছি। বিকাশের সঙ্গে আমার বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আমি আমরণ অনশন চালিয়ে যাব।
এব্যাপার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, যেহেতু ছেলে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক, তারা চাইলে আদালতে যেতে পারেন। এর পরও আমি বিষয়টি ভেবে দেখছি কি করা যায়।