সরকার জনস্বার্থে ও বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগও দিতে পারবে সরকার।
এমন বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’–এর খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
শুক্রবার সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় বলে তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়।
প্রস্তাবিত ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ ’-এ দুটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই আইনের অন্যান্য বিধানে কিংবা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। এ ছাড়া বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে কোনো সিটি করপোরেশনে নির্দিষ্ট মেয়াদ উল্লেখ করে অথবা পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করতে পারবে। প্রায় একই রকম বিধান যুক্ত করা হয়েছে প্রস্তাবিত ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, প্রস্তাবিত ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশে।
ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অধিকাংশই আত্মগোপনে চলে গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। পরে বিকল্প ব্যবস্থা করে সরকার। যেমন উপজেলা চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলে দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।