০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পোশাকশিল্পের মালিকেরা নতুন মজুরি প্রস্তাব দেবেন

Reporter Name
  • No Update : ১১:০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩
  • / 1351

শ্রমিক আন্দোলনের মুখে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকপক্ষ নতুন মজুরি প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নিম্নতম মজুরি বোর্ডের পঞ্চম সভা শেষে আজ বুধবার বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মালিকপক্ষ নতুন মজুরি প্রস্তাব দেবে। এ ছাড়া মজুরি কাঠামোর প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রেড বাদ দিতে শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষই রাজি হয়েছে।

লিয়াকত আলী মোল্লা আরও বলেন, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে মজুরি চূড়ান্ত হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামো কার্যকর হবে।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে আজ লিয়াকত আলী মোল্লার সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন মালিকপক্ষের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান ও শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম, মালিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি মকসুদ বেলাল সিদ্দিকী, শ্রমিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি সুলতান আহম্মদ এবং নিরপেক্ষ প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন।

প্রায় দুই ঘণ্টার সভা শেষে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা মজুরি প্রস্তাব বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী সপ্তাহে আমরা নতুন আরেকটি প্রস্তাব দেব।’

সভার বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভালো আলোচনা হয়েছে। মালিকপক্ষ আগের থেকে নমনীয় হয়েছে। মালিকপক্ষের প্রতিনিধি বোর্ডের সদস্যদের বলেছেন, মজুরি নিয়ে তাঁরা আগের অবস্থানে নেই। তাঁরা মজুরি আগের চেয়ে বেশি প্রস্তাব করবেন।

আরেকটি প্রশ্নের জবাবে সিরাজুল ইসলাম বলেন, মজুরি বোর্ডের পরের সভায় মজুরি চূড়ান্ত হবে।

গত ২২ অক্টোবর মজুরি বোর্ডের চতুর্থ সভায় শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা ন্যূনতম মজুরি দাবি করে প্রস্তাব দেন। তার বিপরীতে মালিকপক্ষ প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ১০ হাজার ৪০০ টাকার মজুরি প্রস্তাব দেয়। পরদিন থেকেই গাজীপুরে মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামেন। পরে আশুলিয়া–সাভারেও শ্রম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। গত সোমবার দুজন শ্রমিক নিহত হন। পরদিন আন্দোলন আরও সহিংস হয়ে ওঠে।

উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গাজীপুরের বেশ কিছু কারখানা অনিবার্য কারণ দেখিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন দিনের কারখানা বন্ধের নোটিশ দিয়েছে।

Tag : Bangladesh Diplomat, bd diplomat

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট

Bangladesh Diplomat | বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট | A Popular News Portal Of Bangladesh.

পোশাকশিল্পের মালিকেরা নতুন মজুরি প্রস্তাব দেবেন

No Update : ১১:০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

শ্রমিক আন্দোলনের মুখে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকপক্ষ নতুন মজুরি প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নিম্নতম মজুরি বোর্ডের পঞ্চম সভা শেষে আজ বুধবার বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মালিকপক্ষ নতুন মজুরি প্রস্তাব দেবে। এ ছাড়া মজুরি কাঠামোর প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রেড বাদ দিতে শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষই রাজি হয়েছে।

লিয়াকত আলী মোল্লা আরও বলেন, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে মজুরি চূড়ান্ত হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামো কার্যকর হবে।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে আজ লিয়াকত আলী মোল্লার সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন মালিকপক্ষের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান ও শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম, মালিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি মকসুদ বেলাল সিদ্দিকী, শ্রমিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি সুলতান আহম্মদ এবং নিরপেক্ষ প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন।

প্রায় দুই ঘণ্টার সভা শেষে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা মজুরি প্রস্তাব বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী সপ্তাহে আমরা নতুন আরেকটি প্রস্তাব দেব।’

সভার বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভালো আলোচনা হয়েছে। মালিকপক্ষ আগের থেকে নমনীয় হয়েছে। মালিকপক্ষের প্রতিনিধি বোর্ডের সদস্যদের বলেছেন, মজুরি নিয়ে তাঁরা আগের অবস্থানে নেই। তাঁরা মজুরি আগের চেয়ে বেশি প্রস্তাব করবেন।

আরেকটি প্রশ্নের জবাবে সিরাজুল ইসলাম বলেন, মজুরি বোর্ডের পরের সভায় মজুরি চূড়ান্ত হবে।

গত ২২ অক্টোবর মজুরি বোর্ডের চতুর্থ সভায় শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা ন্যূনতম মজুরি দাবি করে প্রস্তাব দেন। তার বিপরীতে মালিকপক্ষ প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ১০ হাজার ৪০০ টাকার মজুরি প্রস্তাব দেয়। পরদিন থেকেই গাজীপুরে মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামেন। পরে আশুলিয়া–সাভারেও শ্রম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। গত সোমবার দুজন শ্রমিক নিহত হন। পরদিন আন্দোলন আরও সহিংস হয়ে ওঠে।

উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গাজীপুরের বেশ কিছু কারখানা অনিবার্য কারণ দেখিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন দিনের কারখানা বন্ধের নোটিশ দিয়েছে।