10:06 pm, Saturday, 21 December 2024

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেন হারুন, গড়লেন সম্পদের পাহাড়

হারুন অর রশীদ। ফাইল ছবি

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তা অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে হেফাজতে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর শেষবারের মতো আলোচনায় আসেন তিনি। এবার তার বিরুদ্ধে বিসিএস চাকরিতে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও এলাকায় তার বিপুল সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১৬ আগষ্ট) একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হারুন অর রশীদ কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আবদুল হাসেম ও মা জহুরা খাতুন। সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ এর প্রয়াত বাবা আব্দুল হাসেম ঘাগড়া বাজারে চালের কারবার করতেন। হাওরের সেচ প্রকল্পেও শ্রম দিতেন।

হারুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স (এমএসএস) করেন। লেখাপড়া শেষে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে চাকরি পান। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার এসে তার পদায়ন আটকে দেয়। ওয়ান-ইলেভেনের সময় হারুনের চাকরি স্থায়ী হয়।

এলাকাবাসী জানায়, হারুনের বাবা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি। আর তার বাবার চাচা ইদ্রিস ওরফে ইদু মোল্লা ছিলেন ‘কুখ্যাত রাজাকার’।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজীপুরের এসপি থাকাকালীনই হারুনের ‘ভাগ্যবদল’ ঘটে। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের এসপি থাকার সময় থেকেই হারুন তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে বাড়ির পাশের হাওরে জমি কিনতে শুরু করেন। নামে-বেনামে তার কমপক্ষে ১০০ একর জমি রয়েছে। আবার শতাধিক একর অন্যের জমি তার দখলে রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রেও হারুনের শতকোটি টাকার সম্পদ থাকার গুঞ্জন রয়েছে।

২০১১ সালের জুলাইয়ে জাতীয় সংসদের সামনে এক মিছিলে তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুককে মারধর করে প্রথম আলোচনায় আসা হারুন এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। গোয়েন্দা পুলিশের মানুষকে তুলে নিয়ে গিয়ে ভাত খাইয়ে ভিডিও ছেড়ে দেয়া, বিরোধী দলের প্রতিটি আন্দোলনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে ‘বোমা ও বাঁশের লাঠিসোটা’ উদ্ধার, প্রতিদিনই সাংবাদিকদের একাধিকবার ব্রিফিং করা, তারকাদের সঙ্গে ফটোসেশন, যাকে তাকে ডিবিতে তুলে নিয়ে আসা, হেফাজতে নির্যাতন, আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়- এমন নানান নেতিবাচক কাজে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচিত এই কর্মকর্তা।

যেভাবে সম্পদের পাহাড় গড়লেন হারুন

কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের হোসেনপুর গ্রামের পাশের হাওরে প্রায় তিন হাজার শতক (৩০ একর) জমিতে তিনতারা মানের ‘প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট’ দ্বীপের মতো দাঁড়িয়ে। ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চালু হওয়া রিসোর্টের এক পাশে ২০টি দোতলা কটেজে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ৪০টি কক্ষ (স্যুট)। আছে রেস্টুরেন্ট, পার্টি সেন্টার, শিশুদের গেম জোন ও ওয়াচ টাওয়ার। একেকটি স্যুটের দৈনিক ভাড়া ছয় হাজার থেকে ২৮ হাজার টাকা।

রিসোর্ট এলাকার মাঝে রয়েছে বিশাল আয়তনের একটি দীঘি। এর মাঝখানে হেলিপ্যাড। বিগত সরকারের একাধিক প্রভাবশালী মন্ত্রী, সচিব এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রিসোর্টে বেড়াতে এসেছেন।

রিসোর্টের বাইরে হারুন নিরীহ কৃষকদের তিন-চার শ’ একর জমি তার অ্যাগ্রো ফার্মের জন্য দখলের পাঁয়তারা করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, শতাধিক একর জমি বাঁধ দিয়ে গত বছর দখল করে নিয়েছেন। গত শুকনা মৌসুমে হারুনের ছোট ভাই শাহরিয়ারের নেতৃত্বে মিঠামইনের হোসেনপুর থেকে অষ্টগ্রামের ভাতশালা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকায় মাটির বাঁধ নির্মাণ করেছেন। কৃষকদের জমি কেটে নির্মীয়মাণ বাঁধে মাটি ফেলা হচ্ছে। তবে বর্ষা এসে যাওয়ায় বাঁধটি সম্পূর্ণ হয়নি।

২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর এই রিসোর্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর আট মাসেই এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে রিসোর্ট ও অ্যাগ্রো ফার্ম নির্মাণের কাজ শুরু করেন হারুন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গ্রামের পাশের হাওরে হারুনের পরিবারের অল্প পরিমাণ জমি ছিল। তার প্রয়াত পিতা আব্দুল হাশেম ঘাগড়া বাজারে চালের কারবার করতেন। হাওরের সেচ প্রকল্পেও শ্রম দিতেন। হারুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে চাকরি পান। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার এসে তার পদায়ন আটকে দেয়। ওয়ান-ইলেভেনের সময় হারুনের চাকরি স্থায়ী হয়। এলাকাবাসী জানায়, হারুনের বাবা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি। আর তার বাবার চাচা ইদ্রিস ওরফে ইদু মোল্লা ছিলেন কুখ্যাত রাজাকার। গাজীপুরের এসপি থাকাকালীনই হারুনের ‘ভাগ্যবদল’ ঘটে। সূত্রগুলো জানায়, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের এসপি থাকার সময় থেকেই হারুন তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে বাড়ির পাশের হাওরে জমি কিনতে শুরু করেন। নামে-বেনামে তার কমপক্ষে ১০০ একর জমি রয়েছে। আবার শতাধিক একর অন্যের জমি তার দখলে রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রেও হারুনের শতকোটি টাকার সম্পদ থাকার গুঞ্জন রয়েছে।

এ ছাড়াও স্থানীয় একাধিক সূত্রের অভিযোগ, হারুন এবং তার পরিবার রিসোর্টের জন্য অন্যের জমি প্রভাব খাটিয়ে দখল করে নিয়েছেন। এর বাইরেও বিপুল সম্পদ রয়েছে তার। অনেকের জমি ও পুকুর দখল করে ওই সব ভূমির মালিককে বিক্রি করতে বাধ্য করেছেন অথবা চাপ দিয়েছেন।

এ বিষেয়ে সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার ভাই, প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট ও অ্যাগ্রো ফার্মের এমডি ডা. এ বি এম শাহরিয়ারের ফোনও বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও গত ৭ আগস্ট প্রেসিডেন্ট রিসোর্টে গিয়ে এমডির সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করা হয়। মূল গেটে পাহারায় থাকা লোকজন বলেন, ‘এমডি স্যার নেই। দেশের পরিস্থিতি ভালো না। এখন রিসোর্টে কাউকে অ্যালাও করা হচ্ছে না।’

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

কনক্রিট হল ব্লক- বাড়ির শক্ত ভিতের জন্য সেরা পছন্দ

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেন হারুন, গড়লেন সম্পদের পাহাড়

Update Time : 03:50:56 pm, Friday, 16 August 2024

ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তা অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে হেফাজতে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর শেষবারের মতো আলোচনায় আসেন তিনি। এবার তার বিরুদ্ধে বিসিএস চাকরিতে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও এলাকায় তার বিপুল সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১৬ আগষ্ট) একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হারুন অর রশীদ কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আবদুল হাসেম ও মা জহুরা খাতুন। সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ এর প্রয়াত বাবা আব্দুল হাসেম ঘাগড়া বাজারে চালের কারবার করতেন। হাওরের সেচ প্রকল্পেও শ্রম দিতেন।

হারুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স (এমএসএস) করেন। লেখাপড়া শেষে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে চাকরি পান। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার এসে তার পদায়ন আটকে দেয়। ওয়ান-ইলেভেনের সময় হারুনের চাকরি স্থায়ী হয়।

এলাকাবাসী জানায়, হারুনের বাবা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি। আর তার বাবার চাচা ইদ্রিস ওরফে ইদু মোল্লা ছিলেন ‘কুখ্যাত রাজাকার’।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজীপুরের এসপি থাকাকালীনই হারুনের ‘ভাগ্যবদল’ ঘটে। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের এসপি থাকার সময় থেকেই হারুন তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে বাড়ির পাশের হাওরে জমি কিনতে শুরু করেন। নামে-বেনামে তার কমপক্ষে ১০০ একর জমি রয়েছে। আবার শতাধিক একর অন্যের জমি তার দখলে রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রেও হারুনের শতকোটি টাকার সম্পদ থাকার গুঞ্জন রয়েছে।

২০১১ সালের জুলাইয়ে জাতীয় সংসদের সামনে এক মিছিলে তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুককে মারধর করে প্রথম আলোচনায় আসা হারুন এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। গোয়েন্দা পুলিশের মানুষকে তুলে নিয়ে গিয়ে ভাত খাইয়ে ভিডিও ছেড়ে দেয়া, বিরোধী দলের প্রতিটি আন্দোলনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে ‘বোমা ও বাঁশের লাঠিসোটা’ উদ্ধার, প্রতিদিনই সাংবাদিকদের একাধিকবার ব্রিফিং করা, তারকাদের সঙ্গে ফটোসেশন, যাকে তাকে ডিবিতে তুলে নিয়ে আসা, হেফাজতে নির্যাতন, আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়- এমন নানান নেতিবাচক কাজে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচিত এই কর্মকর্তা।

যেভাবে সম্পদের পাহাড় গড়লেন হারুন

কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের হোসেনপুর গ্রামের পাশের হাওরে প্রায় তিন হাজার শতক (৩০ একর) জমিতে তিনতারা মানের ‘প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট’ দ্বীপের মতো দাঁড়িয়ে। ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চালু হওয়া রিসোর্টের এক পাশে ২০টি দোতলা কটেজে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ৪০টি কক্ষ (স্যুট)। আছে রেস্টুরেন্ট, পার্টি সেন্টার, শিশুদের গেম জোন ও ওয়াচ টাওয়ার। একেকটি স্যুটের দৈনিক ভাড়া ছয় হাজার থেকে ২৮ হাজার টাকা।

রিসোর্ট এলাকার মাঝে রয়েছে বিশাল আয়তনের একটি দীঘি। এর মাঝখানে হেলিপ্যাড। বিগত সরকারের একাধিক প্রভাবশালী মন্ত্রী, সচিব এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রিসোর্টে বেড়াতে এসেছেন।

রিসোর্টের বাইরে হারুন নিরীহ কৃষকদের তিন-চার শ’ একর জমি তার অ্যাগ্রো ফার্মের জন্য দখলের পাঁয়তারা করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, শতাধিক একর জমি বাঁধ দিয়ে গত বছর দখল করে নিয়েছেন। গত শুকনা মৌসুমে হারুনের ছোট ভাই শাহরিয়ারের নেতৃত্বে মিঠামইনের হোসেনপুর থেকে অষ্টগ্রামের ভাতশালা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকায় মাটির বাঁধ নির্মাণ করেছেন। কৃষকদের জমি কেটে নির্মীয়মাণ বাঁধে মাটি ফেলা হচ্ছে। তবে বর্ষা এসে যাওয়ায় বাঁধটি সম্পূর্ণ হয়নি।

২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর এই রিসোর্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর আট মাসেই এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে রিসোর্ট ও অ্যাগ্রো ফার্ম নির্মাণের কাজ শুরু করেন হারুন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গ্রামের পাশের হাওরে হারুনের পরিবারের অল্প পরিমাণ জমি ছিল। তার প্রয়াত পিতা আব্দুল হাশেম ঘাগড়া বাজারে চালের কারবার করতেন। হাওরের সেচ প্রকল্পেও শ্রম দিতেন। হারুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে চাকরি পান। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার এসে তার পদায়ন আটকে দেয়। ওয়ান-ইলেভেনের সময় হারুনের চাকরি স্থায়ী হয়। এলাকাবাসী জানায়, হারুনের বাবা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি। আর তার বাবার চাচা ইদ্রিস ওরফে ইদু মোল্লা ছিলেন কুখ্যাত রাজাকার। গাজীপুরের এসপি থাকাকালীনই হারুনের ‘ভাগ্যবদল’ ঘটে। সূত্রগুলো জানায়, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের এসপি থাকার সময় থেকেই হারুন তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে বাড়ির পাশের হাওরে জমি কিনতে শুরু করেন। নামে-বেনামে তার কমপক্ষে ১০০ একর জমি রয়েছে। আবার শতাধিক একর অন্যের জমি তার দখলে রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রেও হারুনের শতকোটি টাকার সম্পদ থাকার গুঞ্জন রয়েছে।

এ ছাড়াও স্থানীয় একাধিক সূত্রের অভিযোগ, হারুন এবং তার পরিবার রিসোর্টের জন্য অন্যের জমি প্রভাব খাটিয়ে দখল করে নিয়েছেন। এর বাইরেও বিপুল সম্পদ রয়েছে তার। অনেকের জমি ও পুকুর দখল করে ওই সব ভূমির মালিককে বিক্রি করতে বাধ্য করেছেন অথবা চাপ দিয়েছেন।

এ বিষেয়ে সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার ভাই, প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট ও অ্যাগ্রো ফার্মের এমডি ডা. এ বি এম শাহরিয়ারের ফোনও বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও গত ৭ আগস্ট প্রেসিডেন্ট রিসোর্টে গিয়ে এমডির সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করা হয়। মূল গেটে পাহারায় থাকা লোকজন বলেন, ‘এমডি স্যার নেই। দেশের পরিস্থিতি ভালো না। এখন রিসোর্টে কাউকে অ্যালাও করা হচ্ছে না।’