জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থান চলাকালে শেখ হাসিনার নির্দেশে ‘গণহত্যা’ ও চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। তারা এসব ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তে জাতিসংঘকে নেতৃত্ব দিতে আহ্বান জানিয়েছে।
আজ শনিবার সকালে জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলটির নেতারা এ আহ্বান জানিয়েছেন। বিকেলে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই ও আগস্টে তৎকালীন সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের প্রত্যক্ষ নির্দেশে বাংলাদেশে সবচেয়ে জঘন্যতম গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এর অবশ্যই পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা উচিত এবং অপরাধীদের জবাবদিহি ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। এবি পার্টি চায় জাতিসংঘ এ তদন্তে সর্বাত্মক সহায়তা ও নেতৃত্ব দিক।
পাশাপাশি ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত দেশে যত গুম, খুন, আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেগুলোর নিরপেক্ষ বিচারের পথ তৈরিতে বাংলাদেশের অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদার এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে অংশ নিতে আহ্বান জানায় দলটি।
সম্প্রতি গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ ও চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে ন্যায়বিচার, জবাবদিহি নিশ্চিত করা ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি দূর করার বিষয়সহ নানা বিষয়ে এবি পার্টির নেতারা গোয়েন লুইসের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে দলের হয়ে সদস্যসচিব মজিবুর রহমান নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ও জুবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া এবং এবি পার্টি উইমেন শাখার ইনচার্জ নাসরীন সুলতানা ছিলেন। এ সময় জাতিসংঘের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খানও উপস্থিত ছিলেন।