পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতৃত্বাধীন সরকার আর মাত্র দুই মাস ক্ষমতায় টিকতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। শাসকেরা বোকার মতো কাজ করছেন। তাঁরা কিছু মেনে নিতে চান না। এই কারাগার থেকে আমি অনুমান করছি যে এই সরকারের হাতে আর মাত্র দুই মাস সময় আছে।’
এ সময় গত বছরের ৯ মের দাঙ্গার জন্য শর্তাধীন ক্ষমা চেয়ে বুধবার তিনি যে বিবৃতি দিয়েছেন, সে সম্পর্কে কথা বলেন ইমরান খান। তিনি বলেন, তিনি শর্তহীন ক্ষমা চেয়েছেন বলে মানুষের মধ্যে যে ধারণা ছড়িয়েছে, তা ভুল। তাঁকে দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানজুড়ে যে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে পিটিআই নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেলেই ক্ষমা চাইবেন তিনি।
৯ মের দাঙ্গায় বিভিন্ন সরকারি সম্পদ ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় সহিংস বিক্ষোভকারীরা। ইমরান খানের ভাষ্যমতে, ওই হামলায় পিটিআই নেতা-কর্মীরা জড়িত ছিলেন না। তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করছিলেন। তারপরও তাঁদের ‘সন্ত্রাসী’ তকমা দেওয়া হয়েছে। ইমরান বলেন, ‘আমি কি এতটাই বোকা যে আমাদের লোকজনকে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালাতে বলব!’
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন নিয়েও কথা বলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি বলেন, সিইসি অতীতে ‘জালিয়াতির নির্বাচনের’ আয়োজন করেছিলেন। উপনির্বাচনের সময় তাঁরা ‘জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছিলেন’।
এ সময় ইমরান খান বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীন কোনো অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা মেনে নেবেন না তিনি। একই সঙ্গে বর্তমান সিইসির অধীন কোনো নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে নারাজ তিনি।
এর আগে গতকাল কংগ্রেস নেতা সজ্জন সিং ভার্মা কঠোর হুঁশিয়ারি করে দিয়ে বলেছিলেন হাসিনার পরণতি ভোগ করতে হবে ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তাহলে কি বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া অস্থিরতার দিকে আগাচ্ছে ? এমন নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
বলে রাখা ভালো ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকেই বাংলাদেশের অস্থিরতা কমতে শুরু করেছে।