মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে স্থাপিত শচীন টেন্ডুলকারের ভাস্কর্যটির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথের মিল খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। স্মিথের নামের নকল অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে সাংবাদিক, সমর্থকেরা এ নিয়ে মজা করার সুযোগও ছাড়ছেন না।
গতকাল ওয়াংখেড়েতে উন্মোচন করা হয় টেন্ডুলকারের এই ভাস্কর্য। একটি অনুষ্ঠানে টেন্ডুলকারকে স্মারকও তুলে দেওয়া হয় মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। টেন্ডুলকার পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লেখেন, ‘এ ভাস্কর্য শুধু আমার নয়। প্রত্যেক নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ব্যাটসম্যান, আমার ক্রিকেটের নায়কেরা, প্রত্যেক সতীর্থ, প্রত্যেক সহকর্মী, যাঁরা আমার পাশে ছিলেন, যাঁদের ছাড়া এ ভ্রমণ সম্ভব হতো না—সবার প্রতি এটি উৎসর্গ।’
আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়াংখেড়েতেই মুখোমুখি হয়েছে ভারত। এ ম্যাচ শুরুর আগে বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেন্ডুলকার নিজে, মাঠে বসে খেলাও দেখছেন তিনি। তবে টেলিভিশন সম্প্রচারে টেন্ডুলকারের ভাস্কর্যটি দেখানোর পরই স্মিথের সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন অনেকেই।
টেন্ডুলকার তুলে মেরে স্ট্রেইট ড্রাইভ খেলছেন, এমন একটি মুহূর্তের ভাস্কর্য বানানো হয়েছে। তবে হেলমেটের নিচে মুখের যে আদল, সেটির সঙ্গেই স্মিথের মিল খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে। উইজডেনের সম্পাদক লরেন্স বুথ একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে লিখেছেন, ‘মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে ভাস্কর্য বসানোর জন্য স্টিভ স্মিথকে বেছে নেওয়া বেশ আগ্রহজাগানিয়া ব্যাপার।’
স্মিথের নামে থাকা একটি নকল অ্যাকাউন্ট থেকে আবার পোস্ট করে বলা হয়েছে, ‘আমার ভাস্কর্য দেখতে পেরে ভালো লাগছে, তবে আমি আরেকটু লম্বা।’
ওয়াংখেড়েতে টেন্ডুলকারের ভাস্কর্য
ওয়াংখেড়েতে টেন্ডুলকারের ভাস্কর্য
অবশ্য দুজনের দুটি ছবি পাশাপাশি দিয়ে আরেকজন বলেছেন, টেন্ডুলকারের ভাস্কর্যের সঙ্গে স্মিথের চেহারার মিল খুঁজে পাওয়ার কারণ, দুজন একটা বয়সে প্রায় একই রকম দেখতে ছিলেন!
খেলোয়াড়দের ভাস্কর্য উন্মোচন হওয়ার পর বিতর্ক বা মজা তৈরি হওয়ার ঘটনা অবশ্য নতুন নয় একেবারেই। পর্তুগিজ ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর এমন একটি ভাস্কর্যও বিতর্ক তৈরি করেছিল। সেটি কোনোভাবেই রোনালদোর মতো দেখতে হয়নি, বলা হচ্ছিল এমন।