কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে চলমান পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির আলোচনা স্থগিত করেছে।
আগামী সেপ্টেম্বরে এ আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আলোচনা স্থগিত করার বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাসকে গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে।
ব্রাসেলসে ইইউ সদর দপ্তর গত অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময় ২৭ দেশের প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব চুক্তির আলোচনা শুরুর আগ্রহ দেখায়। বাংলাদেশও তাতে সম্মতি জানায়।
ঢাকায় কূটনৈতিক সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় আলোচনার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বর্তমানে ব্রাসেলসে অবস্থান করছেন। তাঁর এই সফরের মধ্যেই ইইউ অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির (পার্টনারশিপ অ্যান্ড কোঅপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট) আলোচনা স্থগিত করল।
বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতির ওপর ইইউর পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল গতকাল বিবৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সহযোগিতা চুক্তির আলোচনা স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার মধ্যে শিশু–কিশোর ও সাংবাদিকদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ‘মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের’ নিন্দা জানান। একই সঙ্গে তিনি সহিংসতার ঘটনাগুলোর যথাযথ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০২৩ সালে দেশের মোট বাণিজ্যের ২০ দশমিক ৭ শতাংশই হয়েছে এই জোটের দেশগুলোর সঙ্গে। এই দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে যত পণ্য আমদানি করে, তার ৯০ শতাংশের বেশি হলো তৈরি পোশাক।