5:33 pm, Saturday, 21 December 2024

ভুয়া সনদের শিক্ষক নিজে! জাল সনদে আরেক জনকে নিয়োগ

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

নিজে জাল এনটিআরসি সনদে কলেজে শিক্ষকতা নিয়ে ধরা খেয়ে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। এরপরও সাড়ে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে অপর একজনকেও ভুয়া সনদে চাকুরী দিয়ে প্রতারণা করেছেন মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মনোহরদী উপজেলার শরীফপুর গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দীনের ছেলে সোহরাব হোসেন এনটিআরসি সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে উপজেলার

খিদিরপুর ডিগ্রী কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক পদে চাকুরী নেন। যথারীতি তার এমপিওভুক্তিও ঘটে। পরে সেখানে জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে চাকরিচ্যুত হন তিনি। এতে তার এমপিও বাতিল হয়।
এ ছাড়াও সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে তার নিজ গ্রাম শরীফপুরের হারিছ উদ্দীনের মেয়ে আছমা আক্তারকে সাড়ে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে জাল এনটিআরসি সনদ, সুপারিশে বেলাব উপজেলার দলিরপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে।

আছমা বেগমের বড় ভাই আ. রশিদ জানান, সেখানে ১৪ মাস চাকুরী করার পরও তার বোনের এমপিও (মান্থলী পেমেন্ট অর্ডার) না হবার পর তারা সোহরাব হোসেনের জাল জালিয়াতির ঘটনাটি টের পান। ফলে সোহরাব হোসেনকে টাকা ফেরত দিতে চাপ প্রয়োগ করেও কোন সুফল পান নি।এমতাবস্থায় সম্প্রতি তিনি মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ পেশ করেছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহরাব হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এটি সম্পূর্ণ একটি অপপ্রচার। বিষয়টি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র একটি।

এ ব্যাপারে মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাছিবা খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট

Bangladesh Diplomat | বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট | A Popular News Portal Of Bangladesh.

ভুয়া সনদের শিক্ষক নিজে! জাল সনদে আরেক জনকে নিয়োগ

Update Time : 10:32:46 pm, Thursday, 9 May 2024

নিজে জাল এনটিআরসি সনদে কলেজে শিক্ষকতা নিয়ে ধরা খেয়ে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। এরপরও সাড়ে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে অপর একজনকেও ভুয়া সনদে চাকুরী দিয়ে প্রতারণা করেছেন মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মনোহরদী উপজেলার শরীফপুর গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দীনের ছেলে সোহরাব হোসেন এনটিআরসি সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে উপজেলার

খিদিরপুর ডিগ্রী কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক পদে চাকুরী নেন। যথারীতি তার এমপিওভুক্তিও ঘটে। পরে সেখানে জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে চাকরিচ্যুত হন তিনি। এতে তার এমপিও বাতিল হয়।
এ ছাড়াও সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে তার নিজ গ্রাম শরীফপুরের হারিছ উদ্দীনের মেয়ে আছমা আক্তারকে সাড়ে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে জাল এনটিআরসি সনদ, সুপারিশে বেলাব উপজেলার দলিরপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে।

আছমা বেগমের বড় ভাই আ. রশিদ জানান, সেখানে ১৪ মাস চাকুরী করার পরও তার বোনের এমপিও (মান্থলী পেমেন্ট অর্ডার) না হবার পর তারা সোহরাব হোসেনের জাল জালিয়াতির ঘটনাটি টের পান। ফলে সোহরাব হোসেনকে টাকা ফেরত দিতে চাপ প্রয়োগ করেও কোন সুফল পান নি।এমতাবস্থায় সম্প্রতি তিনি মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ পেশ করেছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহরাব হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এটি সম্পূর্ণ একটি অপপ্রচার। বিষয়টি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র একটি।

এ ব্যাপারে মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাছিবা খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।