বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে শুরু থেকেই সরব ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া নিয়ে শুরু থেকেই জোড়াল আহ্বান জানিয়েছিল ওয়াশিংটন। ঢাকাকে নিয়ে মাথা ঘামালেও আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো উচ্চাবাচ্য নেই।
ইমরান খানের দল পিটিআ এ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। এমনকি নির্বাচনের আগে ইমরানের দলকে কার্যত আড়াল করে দেওয়া হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে ‘একতরফা নির্বাচন’ হলেও যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চুপ। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের বেলায় হুমকি দেওয়া হলেও; পাকিস্তানকে কেন এ ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে না? মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলের কাছে এমনই প্রশ্ন করেছিলেন এক সাংবাদিক।
এ প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি না কোনো পার্থক্য আছে। আমরা আগে থেকে কিছু বলব না। নির্বাচন-পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এখনই ভীতির কারণ দেখছি না।’
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে আসেন বেদান্ত প্যাটেল। তখন পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে ওই সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করে বলেন, গত সেপ্টেম্বরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ নিয়ে ঘোষণা দিয়েছিল ‘যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে বাধাগ্রস্ত করবে— তারা নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বেন। কিন্তু আপনি— এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো ঘোষণা দেননি। এক্ষেত্রে কেন পার্থক্য এবং দুই দেশকে কীভাবে কী করা হচ্ছে?”