নিজের কারাবাসের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন করোনার সময় ভুয়া সনদ দিয়ে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত আলোচিত সমালোচিত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা। তিনি জানিয়েছেন, কারাগারের কয়েদিরা আদরের সঙ্গে তাকে ৪ আঙুল বেশি জায়গা দিতেন।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) এক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারের তিনি এসব কথা জানান।
সমালোচিত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা জানান, হাজতি হিসেবে আগে অভিজ্ঞতা থাকলেও কয়েদি হিসেবে অভিজ্ঞতা হয়েছে। শ্রেণিপ্রাপ্ত, ডিভিশন এবং নর্মাল ওয়ার্ডের আসামি হিসেবেও থেকেছি। নরমাল ওয়ার্ডে ২৫ থেকে ৪৭ জন আসামি থাকতাম। সবাইকে ঘুমানোর জন্য জন্য দুটো কম্বল দেওয়া হত, আর সবার জন্য মুঠো হাত জায়গা বরাদ্দ ছিল। ‘বিসিএস ক্যাডার’ বলে আদর করে সবাই আমাকে চার আঙুল বেশি জায়গা দিতেন।
তিনি জানান, কারাগারের লাইব্রেরিতে অনেক বই পড়েছি। তখন থেকে বই লেখার ভাবনা আসে মাথায়। আগে নিভৃতে বই লিখলেও পরে ভাবলাম আমাকে বই লিখতেই হবে। আসন্ন একুশে বই মেলায় আমার একটা বই পাওয়া যাবে। এই বইয়ে নিজের কোনো ঘটনা নেই, এখানে স্থান পেয়েছে নারীবন্দিদের লোমহর্ষক সব ঘটনা।
এর আগে ২০২০ সালে করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ডা. সাবরিনা ও আরিফুলসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গত বছরের ৫ জুন জামিনে মুক্তি পান সাবরিনা।