০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতকে উড়িয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

Desk Report- Bangladesh Diplomat
  • No Update : ০৬:৫১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 2006

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের যুবারা। ভারতের দেয়া ১৮৮ রানের লক্ষ্যে ৪২.৫ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

এর আগে দারুণ বোলিংয়ে ভারতকে ১৮৮ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। টাইগার পেসারদের তোপের মুখে শুরুতে দাঁড়াতেই পারছিল না ভারতীয় ব্যাটাররা। ৬১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল ভারত।

শেষদিকে মুশের খান ও মুরুগান অভিশেকের দুই ফিফটিতে সম্মানজনক স্কোরই পেয়ে যায় উদয় শাহারানের দল। ৪২.৪ ওভার খেলে ১৮৮ রানে অলআউট হয়েছে তারা।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) আরব আমিরাতের আইসিসি একাডেমি মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। ২ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার আদর্শ সিং। বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধার বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এরপর ৬ বলে ১ রান করা আরেক ওপেনার আর্শিন কুলকার্নিকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান মৃধা।

অধিনায়ক উদয় শাহারানকে রানের খাতাই খুলতে দেননি মারুফ। অর্থাৎ প্রথম তিন উইকেটের তিনটিই শিকার করেন এই বাঁহাতি পেসার।

এরপর দলের হাল ধরান চেষ্টা করেন প্রিয়ানসু মলিয়া ও শচিন দাস। তবে বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি শচিন। ২৩ রানের জুটিটি ভেঙে দেন ডানহাতি পেসার রোহানাত দৌল্লা বর্ষণ। ৩৬ রানে ছিল না ভারতের ৪ উইকেট।

এরপর প্রিয়ানসু মলিয়া ও মুশের খানের ২৫ রানের জুটি দলীয় স্কোর ৬১ রানে নিয়ে যায়। ১৬ তম ওভারে জোড়া আঘাতে মলিয়াকে ১৯ রানে ও অ্যারাভেলি আভিনিশকে ০ রানে ফেরান ডানহাতি পেসার বর্ষণ। তখন মনে হয়েছিল ভারতকে ১০০ রানের আগেই গুটিয়ে দিতে পারবে বাংলাদেশ।

কিন্তু সেটি হতে দেয়নি মুশের ও মুরুগান অভিশেকের করা সপ্তম উইকেটের জুটি। ১০৮ বলে ৮৪ রানের পার্টনারশিপে তারা দলকে নিয়ে যান ১৪৫ রানে। মুশের ফিফটি হাকিঁয়ে (৬১ বলে ৫০) রাব্বির বলে আরিফের হাতে ক্যাচ হন। এরপর ৩ রান দলীয় স্কোরকার্ডে তিন রান যোগ না হতেই ফেরত যান নতুন ব্যাটার সৌমি পান্ডে।

মুরুগানও হাকাঁন ফিফটি। অবশেষে ৭৪ বলে ৬২ রান (৬ চার ও ২ ছক্কা) করে মারুফের বলে জিসান আলমের হাতে ধরা পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৮৮ রানে অলআউট হয় ভারত।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট (৪১ রান খরচায়) শিকার করেন মারুফ মৃধা। ২টি উইকেট তুলে নেন রোহানাত দৌল্লা বর্ষণ ও শেখ পারভেজ জীবন।

Tag : Bangladesh Diplomat, bd diplomat

Please Share This Post in Your Social Media

One thought on “ভারতকে উড়িয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট

Bangladesh Diplomat | বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট | A Popular News Portal Of Bangladesh.

ভারতকে উড়িয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

No Update : ০৬:৫১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের যুবারা। ভারতের দেয়া ১৮৮ রানের লক্ষ্যে ৪২.৫ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

এর আগে দারুণ বোলিংয়ে ভারতকে ১৮৮ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। টাইগার পেসারদের তোপের মুখে শুরুতে দাঁড়াতেই পারছিল না ভারতীয় ব্যাটাররা। ৬১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল ভারত।

শেষদিকে মুশের খান ও মুরুগান অভিশেকের দুই ফিফটিতে সম্মানজনক স্কোরই পেয়ে যায় উদয় শাহারানের দল। ৪২.৪ ওভার খেলে ১৮৮ রানে অলআউট হয়েছে তারা।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) আরব আমিরাতের আইসিসি একাডেমি মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। ২ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার আদর্শ সিং। বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধার বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এরপর ৬ বলে ১ রান করা আরেক ওপেনার আর্শিন কুলকার্নিকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান মৃধা।

অধিনায়ক উদয় শাহারানকে রানের খাতাই খুলতে দেননি মারুফ। অর্থাৎ প্রথম তিন উইকেটের তিনটিই শিকার করেন এই বাঁহাতি পেসার।

এরপর দলের হাল ধরান চেষ্টা করেন প্রিয়ানসু মলিয়া ও শচিন দাস। তবে বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি শচিন। ২৩ রানের জুটিটি ভেঙে দেন ডানহাতি পেসার রোহানাত দৌল্লা বর্ষণ। ৩৬ রানে ছিল না ভারতের ৪ উইকেট।

এরপর প্রিয়ানসু মলিয়া ও মুশের খানের ২৫ রানের জুটি দলীয় স্কোর ৬১ রানে নিয়ে যায়। ১৬ তম ওভারে জোড়া আঘাতে মলিয়াকে ১৯ রানে ও অ্যারাভেলি আভিনিশকে ০ রানে ফেরান ডানহাতি পেসার বর্ষণ। তখন মনে হয়েছিল ভারতকে ১০০ রানের আগেই গুটিয়ে দিতে পারবে বাংলাদেশ।

কিন্তু সেটি হতে দেয়নি মুশের ও মুরুগান অভিশেকের করা সপ্তম উইকেটের জুটি। ১০৮ বলে ৮৪ রানের পার্টনারশিপে তারা দলকে নিয়ে যান ১৪৫ রানে। মুশের ফিফটি হাকিঁয়ে (৬১ বলে ৫০) রাব্বির বলে আরিফের হাতে ক্যাচ হন। এরপর ৩ রান দলীয় স্কোরকার্ডে তিন রান যোগ না হতেই ফেরত যান নতুন ব্যাটার সৌমি পান্ডে।

মুরুগানও হাকাঁন ফিফটি। অবশেষে ৭৪ বলে ৬২ রান (৬ চার ও ২ ছক্কা) করে মারুফের বলে জিসান আলমের হাতে ধরা পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৮৮ রানে অলআউট হয় ভারত।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট (৪১ রান খরচায়) শিকার করেন মারুফ মৃধা। ২টি উইকেট তুলে নেন রোহানাত দৌল্লা বর্ষণ ও শেখ পারভেজ জীবন।