০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন দেশি পুরাতন ও ভারতীয় পেঁয়াজ মজুতকারীরা

Desk Report- Bangladesh Diplomat
  • No Update : ০৯:৩৫:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 1646

ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর থেকেই পেঁয়াজের বাজারে নৈরাজ্য শুরু হয়। এই অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেঁয়াজ কেনা থেকে বিরত থাকতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে, বাজারে আসতে শুরু করেছে দেশীয় নতুন পেঁয়াজ। দাম তুলনামূলক কিছুটা কম হওয়ায় ক্রেতারা ঝুঁকছেন নতুন পেঁয়াজের দিকেই। ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন দেশি পুরাতন ও ভারতীয় পেঁয়াজ মজুতকারীরা।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি, দেশী পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা আর তুরস্ক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজিতে। এক্ষেত্রে অন্যান্যগুলোর তুলনায় দেশি নতুন পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে বেশি।

অন্যদিকে, ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রেতা দোকানীরা পেঁয়াজের পসরা সাজিয়ে বসে থাকলেও সেগুলোতে ক্রেতা নেই বললেই চলে। ফলে অনেকের পেঁয়াজই পচতে শুরু করেছে, যেগুলো আবার আলাদা করে আরও কম দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পরপরই বেশি দামে বিক্রির আশায় ১০ মণ ভারতীয় পেঁয়াজ কিনে রেখেছিলেন বাড্ডা পাঁচতলা বাজারের জনৈক ব্যবসায়ী কামাল। কিন্তু একদিকে দাম বেশি হওয়ায় ভোক্তাদের মুখ ফিরিয়ে নেয়া এবং অন্যদিকে নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসায় মাথায় হাত তার। বাধ্য হয়েই লোকসানে ছাড়তে হচ্ছে তার পেঁয়াজ। এমনকি গুদামে বস্তাবন্দী থাকায় পচনও ধরেছে পেঁয়াজে।

তিনি জানান, পেঁয়াজ কিনেছিলাম ১৬০ টাকা করে, কিছুদিন ২০০ টাকা কেজি বিক্রিও করেছি। কিন্তু গত দু-একদিন যাবত হঠাৎই বিক্রি কমে গেছে। বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসায় মানুষ কম দামে সেগুলোই কিনছে। কী আর করা, লোকসান হলেও কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর এক আদেশে রপ্তানি বন্ধের খবর জানায় ভারত। তবে এই সিদ্ধান্ত আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এক লাফে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা হয়ে যায় ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। এ নিয়ে ভোক্তাদের নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাঠে নামে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

Tag : Bangladesh Diplomat, bd diplomat

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট

Bangladesh Diplomat | বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট | A Popular News Portal Of Bangladesh.

কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন দেশি পুরাতন ও ভারতীয় পেঁয়াজ মজুতকারীরা

No Update : ০৯:৩৫:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর থেকেই পেঁয়াজের বাজারে নৈরাজ্য শুরু হয়। এই অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেঁয়াজ কেনা থেকে বিরত থাকতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে, বাজারে আসতে শুরু করেছে দেশীয় নতুন পেঁয়াজ। দাম তুলনামূলক কিছুটা কম হওয়ায় ক্রেতারা ঝুঁকছেন নতুন পেঁয়াজের দিকেই। ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন দেশি পুরাতন ও ভারতীয় পেঁয়াজ মজুতকারীরা।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি, দেশী পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা আর তুরস্ক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজিতে। এক্ষেত্রে অন্যান্যগুলোর তুলনায় দেশি নতুন পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে বেশি।

অন্যদিকে, ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রেতা দোকানীরা পেঁয়াজের পসরা সাজিয়ে বসে থাকলেও সেগুলোতে ক্রেতা নেই বললেই চলে। ফলে অনেকের পেঁয়াজই পচতে শুরু করেছে, যেগুলো আবার আলাদা করে আরও কম দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পরপরই বেশি দামে বিক্রির আশায় ১০ মণ ভারতীয় পেঁয়াজ কিনে রেখেছিলেন বাড্ডা পাঁচতলা বাজারের জনৈক ব্যবসায়ী কামাল। কিন্তু একদিকে দাম বেশি হওয়ায় ভোক্তাদের মুখ ফিরিয়ে নেয়া এবং অন্যদিকে নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসায় মাথায় হাত তার। বাধ্য হয়েই লোকসানে ছাড়তে হচ্ছে তার পেঁয়াজ। এমনকি গুদামে বস্তাবন্দী থাকায় পচনও ধরেছে পেঁয়াজে।

তিনি জানান, পেঁয়াজ কিনেছিলাম ১৬০ টাকা করে, কিছুদিন ২০০ টাকা কেজি বিক্রিও করেছি। কিন্তু গত দু-একদিন যাবত হঠাৎই বিক্রি কমে গেছে। বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসায় মানুষ কম দামে সেগুলোই কিনছে। কী আর করা, লোকসান হলেও কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর এক আদেশে রপ্তানি বন্ধের খবর জানায় ভারত। তবে এই সিদ্ধান্ত আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এক লাফে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা হয়ে যায় ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। এ নিয়ে ভোক্তাদের নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাঠে নামে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।